পাচার হওয়ার আগেই গুজরাতের মান্দ্রা বন্দর থেকে ৫২ কিলোগ্রাম কোকেন উদ্ধার করল ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। এই কোকেনের ♊আনুমানিক বাজার দর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক মাদক বাজারে এগুলি পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান ডিআরআইয়ের।
ডিআরআই সূত্রে খবর, ইরান থেকে এই পরিমাণ মাদক আমদানি করা হয়েছিল। সেই খবর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মান্দ্রা বন্দরে একটি তল্লাশি অভিযান চালায়। এই তল্লাশি অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন নমকিন’। সেখানে তল্লাশি চালাতেই দেখা যায় সাধারণ লবণের ১০০০টি বস্তা রয়েছে। গোয়েন্দারা সেখানে প্রায় তিন দিন ধরে তল্লাশি চালান। বস্তা থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তাতে জানা যায় বেশ কয়েকটি বস্তায় কোকেন রয়েছে। গোয়েন্দাদের ღঅনুমান, কোকেন যাতে সহজেই নজরে না তার জন্য সেগুলি লবণের বস্তার সঙ্গে রাখা হয়েছিল।
মাদক পাচারের সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ডিআরআই। উ✤ল্লেখ্য, গত বছরে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩২০০ কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার করেছিল। এছাড়া, গত এক মাসে ডিআরআই কান্ডলা বন্দর ২০৫ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে। পিপাপাভ বন্দরে ৩৯৫ কেজি হেরোইন উদ্ধার করেছে। ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনালের এয়ার কার্গো কমপ্লেক্সে ৬২ কেজি হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। নয়াদিল্লির বিমানবন্দর এবং লাক্ষাদ্বীপের উপকূল থ✤েকে উদ্ধার হয়েছে ২১৮ কেজি হেরোইন।
অন্যদিকে, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) গত সোমবার ২১ হাজার কোটি টাকার ড্রাগ উদ্ধারের একটি মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট দিয়েছে। এনআইএ🅘র অনুমান পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের নির্দেশে ওই সমস্ত ড্রাগ ভারতে পাচার করা হয়েছিল।