তামিলনাড়ুর ধর্মপুরী জেলার একটি সরকারি স্কুল ঘিরে শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং 'স্যালুট' করতে♕ অস্বীকার করেন। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক শুরু হয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার নাকি ব⛄ক্তব্য, ‘আমি খ্রিস্টান, আমি জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা স্যালুট করতে পারি না।’
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার নাম তামিলসেলভি। প্রধান শিক্ষিকা এই বছরই অবসরে যাচ্ছেন। ই আবহে তাঁকে অভিনন্দন জানানোর জন্য স্কুলে ১৫ অগস্টের দিনটিকে বিশেষ ভাবে উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে ⛄জানা গিয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষিকার ধর্মীয় বিশ্বাস নাকি তাঁকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বাধা দেয়। তাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন করেছিলেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রধান শিক্ষিকা পদে রয়েছেন তামিলসেলভি। এহেন শিক্ষিকা জাতীয় পতাকা ꦰউত্তোলন বা তেরঙ্গাকে স্যালুট করতে অস্বীকার করায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়ে গিয়েছে আস্থা! ‘আমাকেඣ বাঁচতে দিন’, ধর্ষকদের মুক্তির পর আর্তি বিলকিসের
একটি রেকর্ড করা ভিডিয়োতে তামিলসেলভিকে বলতে শোনা যায় তাঁর যুক্তি। তাঁর কথায় তিনি ইয়াকোবা খ্রিস্টান হওয়ায় জাতীয় ဣপতাকা উত্তোলন করতে পারেন না। পতাকার কোনও ক্ষতি বা অসম্মান করার উদ্দেশ্য অবশ্য তাঁর ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ঈশ্বরকে স্যালুট করি, অন্য কাউকে নয়। আমরা পতাকাকে সম্মান করি কিন্তু আমরা শুধু ঈশ্বরকে স্যালুট করব। তাই, আমরা সহকারী প্রধান শিক্ষিকাকে পতাকা উত্তোলন করতে বলেছি।’
পরবর্তীকালে, ধর্মপুরীর প্রধান শিক্ষা কর্মকর𒐪্তার (সিইও) কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে তামিলসেলভির নামে। এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের আগের অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষিকা উদ্বিগ্ন হয়ে ছুটি নিয়েছিলেন। এবং তিনি অসুস্থতার অজুহাতে বছরের পর বছর ধরে এই দিনটিতে ছুটি নিতেꩵন।