চণ্ডীগড়ের একটি নামি মলের রেস্তোরাঁর খাবারে মিলেছিল জ্যান্ত পোকা। তার দায়ে ওই রেস্তোরাঁকে꧟ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করল চণ্ডীগড়ের জেলা উপভোক্তা আদালত। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২০ সালের ১৪ সেপ্♓টেম্বর। রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা রঞ্জত কৌর।তিনি ‘চিপটল চিকেন রাইস এবং চিপটল পনির রাইস’ অর্ডার করেছিলেন। তাতেই জ্যান্ত পোকা ঘুরে বেড়াতে দেখেছিলেন।
আরও পড়ুন:চাল, আটা, ময়দায় গিজগিজ করছে পোকা? কৌটোয় ফ📖েলে দিন এই পাতা আর গোটা মশলা, মিটবে সমস্যা
কৌর জানিয়েছেন, যখন তাঁর খাওয়া প্রায় শেষের দিকে ছিল তখনই তিনি খাবারে জ্যান্ত পোকা দেখতে পেয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রেস্তোরাঁর ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। এরপর ম্যানেজার এসে খাবার দেখেছিলেন। কিন্তু, তাঁর মধ্যে কোনও অনুশোচনার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। তিনি বিল না দেওয়ার ෴জন্য বলেছিলেন। কিন্তু, কৌর এর প্রতিবাদ করেন এবং খাবারে পোকার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁকে রেকর্ডিং করতে দেওয়া হয়নি। দ্রুত টেবিল থেকে খাবার সরিয়ে দেন রেস্তোরাঁর কর্মীরা। তবে শেষমেষ খাবারের জন্য ৮৫২ টাকা ৭৫ পয়সা মিটিয়ে সেখান থেকে চলে যান কৌর।
এরপর তিনি রেস্তোরাঁয় আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু, রেস্তোরাঁর পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ দাবি করে, খাবারে কোনও পোকা ছিল না। কারণ খাবারটি সঠিকভাবে রান্না করা হয়েছিল এবং পরিবেশন করা হয়েছিল। এছাড়াও, অভিযোগ করা হয়েছিল যে অভিযোগকারী খাবারের বিলে ꦛছাড় চেয়েছিলেন। তবে রেস্তোরাঁর মালিক উপস্থিত না থাকায় অভিযোগকারীকে শুধুমাত্র পানীয়ের মেনুতে ছাড় দেওয়ার কথা জানানো হয়। রেস্তোরাঁর দাবি, ওই ক্রেতা মি🦂থ্যে বলেছেন।
এরপরেই মামলা দায়ের হয় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে। বিষয়টি শোনার পর, কমিশন জানায়, খাবারে পোকার বিষয়টি রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। অভিযোগকারীকে প্রথমে বিলের প্রতিলিপি দেওয়া হয়নি। এই কারণে অভিযোগকারী পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলেন। গ্রাহকদের স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ খাবার সরবরাহ করা রেস্টুরেন্টের দায়িত্ব। খাবারের মান খারাপ হলে সেটি কর্তব্যের♑ লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। এক্ষেত্রে ওই রেস্তোরাঁ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। গ্রাহকদের নিরাপদ খাবার পরিবেশন না করা এবং যথাযথ পরিষেবা না দেওয়া হল অসৎ ব্যবসা।
কমিশন রেস্তোরাঁকে অভিযোগকারীকে খাবারের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এবং মামলার খরচ হিসাবে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ হিসাবে অভিযোগ🐽কারীকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কমিশন রেস্তোরাঁকে আরও ১০ হাজার টাকা উপভোক্তা আদালতের আইনি সহায়তা অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।