ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন এক চিকিৎসক। অস্ত্রোপচারের মাঝেই রোগীদের বসিয়ে রেখে ছুটলেন চা খেতে। তার পর ফিরলেন চার ঘণ্টা পর। নাগপুরের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের এই কাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।গত ৩ নভেম্বর (শুক্রবার) নাগপুর জেলার মৌদা গ্রামীণ হাসপাতালের অধীনে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আটজন মহিলার পরিবার পরিকল্পনা অস্ত্রোপচার (ভাসেকটমি) করার কথা ছিল। অস্ত্রোপচার করছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ টিএস ভালাভি। চারজন মহিলার অস্ত্রোপচার শেষ হওয়ার পরে এবং বাকি রোগীদের অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয়। সেই সময় ডাঃ ভালাভি হাসপাতালের কর্মীদের কাছ থেকে এক কাপ চায়ের খেতে চান বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর চা না পেয়ে অপারেশন থিয়েটার ছেড়ে চলে যান।বিষয়টি জানাতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জেলা মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মেডিকেল অফিসার তৎক্ষণাৎ এক চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেন। যাদের অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয়েছিল তাদের অপারেশন করা হয়। জেলা প্রশাসন এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।যদি ডাঃ ভালাভি আত্মপক্ষ সমর্থন করে জানিয়েছেন, তিনি একজন ডায়াবেটিক রোগী, এই ঘটনার জন্য হাইপোগ্লাইসেময়াকে দায়ী করেছেন। এটি এমন একটি অবস্থা, যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে কমে যায়, অবিলম্বে খাদ্য ও পানীয়ের দিতে হয় রোগীকে।হাসপাতালের স্টাফ, রোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে আটটি নির্ধারিত অস্ত্রোপচার সেদিনই সম্পন্ন হয়। তবে বাকি অস্ত্রোপচারগুলি ওই চিকিৎসক করেছিলেন কিনা তা জানা যায়নি।অ্যানেস্থেশিয়া এবং জীবাণুমুক্তকরণের প্রক্রিয়া মিলিয়ে ভাসেকটমি করতে ৩০ মিনিট সময় লাগে। ডাঃ ভালাভি চা খেতে অপারেশন থিয়েটার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় চারজন মহিলা অ্যানেস্থেশিয়ার প্রভাবে চারজন মহিলা গভীর আচ্ছন্ন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক, ডাঃ অজয়া ডাওলে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি একটি বিস্তারিত রিপোর্টও জমা দিয়েছেন।নাগপুর জেলা পরিষদের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সৌম্য শর্মা বলেন, মামলাটি এখনও তদন্তাধীন। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে জড়িত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা তা ঠিক হবে।