পাড়ায় ডাক্তারের চেম্বার। সকাল বিকাল সেখানে দেখবেন থিক থিক করছে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের ভিড়। তারা নাকি উপহারে, উপটৌকনে ডাক্তারবাবুদের ভরিয়ে দেন। তবে এবার ২রা অগস্ট ডাক্তারবাবুদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি হল। 'Regulation🧔s relating to Professional Conduct of Registered Medical Practitioners'- এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে চিকিৎসকরা যেন কোনও বিশেষ ব্র্যান্ডের ওষুধ, কোনও ডাক্তারি সামগ্✃রীর বিজ্ঞাপন না দেন। এটা উচিত নয়।
এনএমসির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসক বা তাঁদের পরিবার কোনওরকম উপ♕হার, বেড়াতে যাওয়ার ব্যবস্থা, আতিথেয়তা, নগদ অর্থ বা অন্যভাবে ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে যেন গ্রহণ না করেন। কোনও ফার্মা কোম্পানি, তাদের প্রতিনিধি বা কোনও বাণিজ্যিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনও রকম উপহার যাতে চিকিৎসকরা না নেন সেব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবার প্রশ্ন এটা কি আদৌ মানবেন চিকিৎসকরা? কারণ সরকারি হাসপাতালের আউটডোরেও দেখা যায় রোগীদের টপকে চিকিৎসকের কাছে দেখা করছেন༺ বিভিন্ন ফার্মা কোম্পানির প্রতিনিধিরা। আর বেসরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে ওষুধ কোম্♚পানির দহরম মহরম থাকে দেখার মতো।
এমনকী চিকিৎসকদের এ🐓কাংশের বাড়ির ফ্রিজ, টিভি,এসি থেকে শুরু করে মালয়েশিয়া, স💧িঙ্গাপুর ভ্রমণও হচ্ছে ওষুধ কোম্পানির টাকাতেই। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের একাংশ কি আদৌ এই মধুভাণ্ড ছেড়ে বের হতে পারবেন?
তবে অনেকের মতে বাস্তবে এই নিয়ম যদি চিকিৎকরা মানেন তবে রোগীদের একাংশের উপর কমবে ওষুধের বোঝা। অনেকটা স্বস্তি পাবেন র𝐆োগীরা। কারণ চিকিৎসকদের একাংশের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির একেবারে খুল্লমখুল্লা সম্পর্ক থাকে। যার জেরে ভুগতে হয় গরিব, অসহায় রোগীকে।
তবে এর সঙ্গেই এনএমসি জানিয়েছেন, প্🍃রাইভেট চেম্বার করছেন এমন চিকিৎসকদের ৩ বছরের মেডিক্যাল রেকর্ড রাখতে হবে। পাশাপাশি𒉰 চিকিৎসকদের প্রতিবছর তাঁদের পেশাগত ক্ষেত্রে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হওয়া দরকার। তবে একমাত্র বৈধ মেডিক্যাল কলেজ ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, সরকার অনুমোদিত মেডিক্যাল সোসাইটি এই ধরনের ট্রেনিং দেবে। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা কোনও ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আয়োজিত সিপিডি, সেমিনার, ওয়ার্কশপে, সিম্পোসিয়া, কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা উচিত হবে না। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
তবে চিকিৎসকরা যেমন রোগীর চিকিৎসার প্রতি দায়বদ্ধ তেমনি রোগ🍒ী বা তার পরিবার চিকিৎকের উপর চড়াও হলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সেই রোগীর চিকিৎসা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেন।