পোষ্য যাঁদের আছে, কেবলমাত্র তাঁরাই জানেন সেই মায়ার বাঁধন। বাড়ির এই চারপেয়েরা পরিবারেরই একজন হয়ে ওঠে আমাদের অজান্তেই। আর পরিবারের কেউ যে সকলের সমান ভালবাসার দাবিদার, তা বলাই বাহুল্য।এমনই এক ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে ইনস্টাগ্রামে। সেখানে প্রভু বাড়িতে ল্যাপটপে কাজ করায় বেজায় অসন্তুষ্ট এক কুকুর। বক্সার প্রজাতির এই কুকুর খুব রাগী বলে ভুল ধারণা থাকে অনেকের মধ্যে। কিন্তু সেই ধারণা ভেঙে দিতে, এই একটি ভিডিয়োই যথেষ্ট।কোঁ কোঁ করে মালিকের কোলে বসার জন্য আবদার করতে দেখা যাচ্ছে কুকুরটিকে। আর তাতেই মজেছেন নেটিজেনরা। ওয়ার্ক ফ্রম করার সময়ে তাঁদের পোষ্যরাও এমন করে, অনেকেই জানিয়েছেন কমেন্টে।দেখুন ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা সেই ভিডিয়ো : বক্সার, পিটবুল, ডোবারম্যানদের নিয়ে অনেকের মধ্যেই ভুল ধারণা থাকে। অনেকে ভাবেন এই কুকুরগুলি অ্যাগ্রেসিভ, সব সময়ে রেগে থাকে এবং বিপদজনক। তবে আপনাকে জানিয়ে রাখি, সেই ধারণা একেবারেই ভুল। এর কারণও খুব সহজ।বক্সার, পিটবুল, ডোবারম্যান, জার্মান শেফার্ড জাতীয় কুকুরগুলি ওয়ার্কিং ব্রিড। অর্থাত্ ভেড়ার পাল রক্ষা করা, সেনাবাহিনীর কাজ, পুলিশি কাজের জন্যই এদের ধীরে ধীরে ব্রিড করে তৈরি করা হয়েছে। ফলে এদের শরীরে প্রচুর এনার্জি। বেশ বুদ্ধিদীপ্তও এরা। ফলে ভীষণ কৌতূহলী ও ছটফটে এ জাতীয় কুকুরগুলি।তাই এদের রোজ দৌড় করানো, খেলা ইত্যাদির প্রয়োজন। তার ফলে এদের এনার্জি ক্ষয় হয়, এরা খুশিও থাকে। সেই সঙ্গে একদম ছোট থেকে নিয়মিত বের করা, হাটে-বাজারে, পরিচিতদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন যে কোনও কুকুরকে। এতে তারা অচেনা মানুষ দেখে অভ্যস্ত হয়ে যায়।কিন্তু বেশিরভাগ পালকরাই তা করেন না। ঘরে বা বাগানে আটকে রেখে দেওয়া হয়। দৌড় তো দূর, রোজ বেরও করা হয় না বাড়ি থেকে। বাড়িতে অতিথি এলে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। আর তার ফলেই কুকুরগুলির স্বভাব ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। অ্যাগ্রেসিভ হয়ে যায়। কোনও মানুষকে সবসময়ে আটকে রাখলেও কিন্তু এরকমই প্রভাব পড়বে!তাই পরের বার কেউ কোনও জাতের কুকুরকে বেশি আগ্রাসী বলে দাবি করলে, তাঁকে পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করতেই পারেন।