কাউকে গৃহহীন করা যাবে না। এই করোনা মহামারীর সময়ে কোনও ধরণের ভাঙা বা উচ্ছেদ করা যাবে না। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ তুলে নিতে অস্বীকার করে এই নির্দেশ দিল বম্বে হাইকোর্ট। তবে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পিমপ্রি চিনঞ্চওয়াড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন–কে। আর ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালকে এই নির্দেশ জানিয়ে দিয়ে বলতে বলা হয়েছে, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নদীর ধারে বসবাসকারী কাউকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া যাবে না।আদালত আরও বলেছে, এনজিটি’র নির্দেশ মতো ১০০ জনের বেশি পরিবারকে উচ্ছেদ হতে হয়েছে। তবে তারা পিমপ্রি চিনঞ্চওয়াড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কাছে আবেদন করেননি। তাদের উচ্ছেদের পেছনে কর্পোরেশনের কোনও হাত নেই।বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ফুল বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এএ সৈয়দ, বিচারপতি এসএস সিন্ধে এবং কেকে টাটেড। তাঁরা জানান, এই শুনানিতে কর্পোরেশনের অন্তর্বর্তী আবেদনকে স্বতোপ্রণোদিত মামলা হিসাবে হাইকোর্ট গ্রহণ করেছে। আর অন্তর্বর্তী নির্দেশকে যে শিথিল করার কথা বলা হয়েছে তা করা হচ্ছে না। বরং এই মহামারী পরিস্থিতিতে কোনও ভাঙা বা উচ্ছেদ করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।এই মামলাটি করেছিলেন আইনজীবী জি এইচ কেলুসকার। এদিন তিনি হাইকোর্টকে জানান, ন্যাশানাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পরিবেশবিদ সারাঙ ইয়াদওয়াড়কর একটি নির্দেশ বের করেন। যেখানে কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়, রাম নদীর কাছে দখল করে থাকা বেআইনি জায়গাগুলি খালি করে দিতে হবে। যদিও এই সবের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে বম্বে হাইকোর্ট।এরপরই কর্পোরেশনকে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের প্রশ্ন, হাইকোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় এনজিটি? আপনারা কী এনজিটি–কে এই নির্দেশ জানিয়েছেন? তারপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘একই ধরণের নির্দেশ দেশের সব হাইকোর্ট থেকে দেওয়া হয়েছে। এই স্থগিতাদেশের ফলে যে সমস্ত মানুষের সুবিধা হচ্ছে, তারা কেউ আমাদের লোক নয়। আমরা কাউকে অনুদান পাইয়ে দিচ্ছি না। তবে আমরা এই পরিস্থিতিতে কাউকে উচ্ছেদ করে গৃহহীন করতে চাই না।’