ঘূর্ণিঝড়ের হটস্পট হয়ে উঠেছে আরব সাগর। যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, তাতে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। যে পরিসংখ্যান সামনে এসেছে, তা🐲তে গত ১৫ বছরে ওই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। উপদ্বীপীয় ভারতে এরকম যে ৬৬টি 'সিস্টেম' তৈরি হয়🐓েছে, সেগুলি ২৬টি আরব সাগরেই ছিল। গত এক দশকে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বেড়েছে বঙ্গোপসাগরেও।
এর আগে, আরব সাগরের তুলনায় বঙ্গোপসাগরে বে🅠শি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হত। অনুপাত ছিল ৪:১। কিন্তু এখন বিষয়টা উল্টে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরে যে আরব সাগরের চারগুণ ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হওয়ার তত্ত্ব ছিল, সেটার আর কোনও ভিত্তি নেই এখন। গত ১৫ বছরে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় একেবারে সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগরে ১৮টি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে মাত্র পাঁচটি আরব সাগরে তৈরি হয়েছিল। ১৩টি তৈরি হয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আরব সাগরের ক্রমবর্ধমান সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রার ফলে নয়টি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। আগের তুলনায় এই ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা 💞ছিল দ্বিগুণ। অন্যদিকে, এই একই সময়ে বঙ্গোপসাগরে ১২ ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল।
এ সবের জন্যই দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সা💮লের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসা𒁃গরে সৃষ্ট ২৭টি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ১১টিই আরব সাগরে গিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Food problem of Namibia: খাবার নেই, হাতি, জলহস্তী মেরে জনগণের মধ্যে মাং꧙স বিলি করবে নামিবিয়া)
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ১৯৮২ সাল থেকে ২০০১ সালের মধ্যে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়গুলির শক্তি বেড়েছিল। ঘূর্ণিঝড় এবং অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়েরও স্থায়িত্ব বেড়েছিল। ক্লাইমেট ডায়নামিক্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে রকম ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, সেটা আরব সাগরে ৫২ শতাংশ বেড়েছে। বঙ্গোপসꦫা🦂গরে কমেছে ৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯৮২ সাল থেকে ২০০০ সালের তুলনায় ২০০১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়িত্ব বেড়েছে ৮০ শতাংশ। আর অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়িত্ব তিনগুণ হয়েছে।