গোটা দেশজুড়ে ধূমধাম সহকারে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুজোর আনন্দে🀅 মেতেছেন সাধারণ মানুষ। তবে উত্তরপ্রদেশের বিসরাখ গ্রামে কিন্তু দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে এতটুকু আনন্দ হয় ন🤡া। আসলে রাবণ বধ এখানে কার্যত দুঃখ বয়ে আনে।
দিল্লি থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত উত্তর প্রদেশের একটি গ্রাম বিসরাখ নিজেকে রাবণের জন্মস্থান বলে মনে করে, গ্রামবাসীরা 🐠নিজেদেরকে রাবণের বংশধর হিসাবে গণ্য করে। তার জেরেই রাবণের মৃত্যু মেনে নিতে পারেন না তাঁরা।
কুম্ভকর্ণ, রাবণ ও তাঁর পুত্র মেঘনাথের কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর মধ্য দিয়ে যখন দেশের বাকি অং🐼শ আনন্দ পাচ্ছে, তখন বিসরাখের গ্রামবাসীরা রাবণের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন এবং তাঁর আত্মার জন্য প্রার্থনা করছেন।
বিসরাখের গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করেন যে রাবণ তাঁর জ্꧅ঞান এবং খলনায়ক হওয়ার পরিবর্তে ভগবান শিবের প্রতি ভক্তিপূর্ণ বিশ্বাসের জন্য শ্রদ্ধার যোগ্য। একই সময়ে, তারা এখনও ভগবღান রামের কাছে প্রার্থনা করে, কারণ তিনি একজন দেবতা।
গ্রামের বহু রীতিনীতির মধ্যে এক🔥টিতে🅺 দুর্ভাগ্যকে আমন্ত্রণ জানানোর ভয়ে মানুষ রামলীলা উদযাপন করে না। দশেরার সময় তারা বিসরাখ রাবণ মন্দিরে পুজো দেয়।
স্থানীয় বিশ্বাস অনুসারে, মন্দিরটি একই শিব লিঙ্গ বহন করে য꧙া একসময় রাবণ এবং তাঁর পিতা ঋষি 🌳বিশ্রাবদের দ্বারা পূজা করা হত।
প্রকৃতপক্ষে, গ্রামের নামটি ‘বিশ্রাব’ শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, টাইমস নাও-এর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে।
গ্রামের মানুষ এমনকি রাবণকে উত্সর্গীক⛄ৃত একটি নতুন মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
হিন্দু পুরাণ অনুসারে রাবণ ছ🐲িলেন লঙ্কার রাজা এব🎃ং খুব শিক্ষিত ও শক্তিশালী ছিলেন। রামায়ণ গ্রন্থের বিভিন্ন পুনরাবৃত্তিতে, তাকে দেবতা রামের গল্পে প্রতিপক্ষ হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে তবে তাকে ভারতের বেশ কয়েকটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবেও বিবেচনা করা হয়।
কানপুর, মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলা, কর্ণাটকের মাণ্ড্য জেলা এবং আরও অনেক জায়গায় রাবণের মন্♈দির রয়েছে।
ভারতের মত𝓰ো বৈচিত্র্যময় দেশে, এমনকি দশেরার মতো উদযাপনও বিভিন্ন রূপ এবং বৈচিত্র্য ধারণ করে।
এদিকে এই গ্রামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে♛ রাবণের নানা সাহসিকতার নানা উপাখ্য়ান। বহু মানুষ বিশ্বাস করেন রাবণ ছিলেন শিবের উপাসক। সেই সঙ্গেই রামকেও শ্রদ্ধা করেন তাঁরা। তবে দশেরা একেবারেই আনন্দ নিয়ে আসে না তাঁদের মধ্যে। কারণ তাঁরা বিশ্বাস করেন যে এই গ্রামেই জন্মেছিলেন রাবণ।