তালিবানের দখলে গিয়েছে আফগানিস্তান। ইমরান খানের পাকিস্তান এই তালিবানের জয়কে আফগান স্বাধীনতা বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তবে ভারত যে তালিবানের এই জয়কে কোন চোಞখে দেখে, তা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্পষ্ট করে দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তালিবানি জয় যে সন্ত্রাসবাদ আরও বাড়াতে পারে, সেই আশঙ্কা জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, লস্কর-ই-তইবা এবং জইশ-ই মহম্মদ বা হক্কানির মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি কোনও শাস্তি পায়নি। উল্টে তারা উৎসাহ পাচ্ছে। জয়শঙ্কর এদিন দাবি করেন, 'আমরা সবাই সুরক্ষিত 𒀰না হওয়া পর্যন্ত কেউ সুরক্ষিত নই।'
পাকিস্তানের নাম না করে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এদিন বলেন, কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জোটবদ্ধ প্রতিজ্ঞাকে নষ্ট করতে চাইছে। তাদের দু'মুখো ভূমিকা সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিনি বলেন, 'আমরা দেখছি যাদের হাতে নিরীহ মানুষে🎉র রক্ত লেগে রেয়েছে, তাদের অতিথি করে রাখা হচ্ছে। কোনও যুক্তিতেই সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এতদিনে এটাও বুঝতে পেরেছি যে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কোনও ধর্ম, জাতি বা জাতিগ🔯ত গোষ্ঠীর সম্পর্ক নেই।'
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জয়শঙ্কর 🔥বলেন, স্পষ্ট ভাবেই বোঝা গিয়েছে যে তালিবান কাবুল দখল করেছে। সুতরাং এই মুহূর্তে আমরা ꧟প্রত্যেকের মতো আফগানিস্তানের দিকে নজর রাখছি। আমাদের মূল লক্ষ্য হল আফগানিস্তানের নিরাপত্তা এবং ভারতীয়দের নিরাপদে ফিরিয়ে আনা।
উল্লেখ্য, ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের ভালো সম্পর্ক ছিল। তখন তালিবান ক্ষমতায় ছিল না। এই সময় আফগানিস্তানে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করেছিল ভারত। সেদেশের প্রতিটি প্রদেশেই ভারতের কোনও না কোনও প্রকল্প রয়েছে। সেই বিনিয়োগ এখন আদৌ কাজে লাগবে কি না, তা নিয়ে 🅰সংশয় তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে জয়শঙ্কর বল🅘েন, এই বিনিয়োগ মূলত আফগানিস্তানের জনগণের সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রতিফলন। এটাই আগামীদিনে তাদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পথপ্রদর্শক হবে।