দক্ষিণ ভারতে 'উগাড়ি' উৎসবেের পর দিন পালিত হয় 'হোসা তুড়াকু'। এই উৎসব উপলক্ষ্যে মূলত আমিষ খাবার খেয়ে 'হোসা তুড়াকু' উদযাপিত হয়। সদ্য কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা এইচডি কুমারস্বামীর ফার্মহাউসে এই ভোজের আয়োজন হয়। উল্লেখ্য, ২০২৪ লোকসভা ভোটে কুমারস্বামী কর্ণাটকের মান্ডিয়া কেন্দ্রের প্রার্থী। এনডিএর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে এবারের ভোটে কুমারস্বামীর পার্টি লড়ছে। আর কুমারস্বামীর ফার্মহাউসের এই ভোজসভা ঘিরেই উঠেছে বড়সড় অভিযোগ। অভিযোগ, সেখানে নির্বাচন কমিশনের অফিসাররাও ভোজসভায় পৌঁছন। এমন অভিযোগ ঘিরে কংগ্রেসের অভিযোগ, কুমারস্বামী নির্বাচ🌠নী বিধিভঙ্গ করেছেন।
কর্ণাটকের রামনগরে বিদাদি জেলায় রয়েছে কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামীর ফার্মহাউস। সেই ফার্মহাউসে সদ্য উগাড়ির পরের দিন 'হোসা তুড়াকু' উদযাপিত হয়। এই ভোজে আয়োজন ছিল আমিষ খাবারের। অভিযোগ, ভোটের আগে, মান্ডিয়া কেন্দ্রের প্রার্থী কুমারস্বামীর ফার্মহাউসের ওই ভোজ উৎসবে পৌঁছেছিলেন নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা। এই অভিযোগ ঘিরে, কংগ্রেস সরব হতেই ক♑ুমারস্বামী বলছেন,' উগাড়ি হল হিন্দু নববর্ষের শুরু। এটা সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচিতি হিন্দুদের। আমিষ খাবার এটার ঐতিহ্য়, যা উগাড়ির পরের দিন আয়োজিত হয় অনন্তকাল ধরে। এবার কর্ণাটকের কংগ্রেস এই প্রথা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য পালনের ওপর তার কুনজর দিয়ে দিয়েছে। যেখানে তুলে ধরা হচ্ছে, এই আমিষ খাওয়া যেন সন্ত্রাসবাদের শামিল।' জেডিএস সূত্রের দাবি, কুমারস্বামীর ফার্ম হাউসের কর্মীদের জন্য এই খাওয়া দাওয়ার আয়োজন ছিল। জেডিএস বলছে, কংগ্রেসের কিছু নেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেদিন নির্বাচন কমিশনের অফিসাররা ওই ফার্ম হাউসে ‘তল্লাশি’ করতে পৌঁছন। জেডিএস নেতা এও বলছেন যে, ‘এবার এই ভোজসভা বন্ধ হওয়ায়, আমরা চিন্তত যে যা রান্না হয়েছে, তা আবার নষ্ট না হয়ে যায়।’ জেডিএস বলছে, ওই ভোজসভা জনতার জন্য ছিল না। ফার্মহাউসে প্যান্ডাল, চেয়ার, খাওয়া দাওয়া দেখে, সেখানে কী হচ্ছে, তা খোঁজ নিতেই কমিশনের অফিসাররা পৌঁছন।
কুমারস্বামী এই ঘটনা ঘিরে অভিযোগের সুরে বলেন, এই ঐতিহ্যময় হিন্দু অনুষ্ঠানে কংগ্রেস তার ‘জন্ডিসের নজর’ দিয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জেডিএস ও এনডিএকে খোঁচা দিয়ে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য কংগ্রেস🎉ের প্রেসিডেন্ট ডি শিবকুমার বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা ৫০০ জনের জন্য খাবার💯ের আয়োজন করেছিল, আর তার অনুমতিও নিয়েছিল। তবে জেডিএস অভিযোগ দায়ের করে তা নিয়ে। এবার তারাও ভোজের আয়োজন করেছে… তাদের করতে দিন বরসা তোড়াকু (হোসা তোড়াকু) বা অন্য কিছু, আমি ওসব নিয়ে ভাবছি না। ’