শুক্রবার এক বড় ঘোষণায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিবসেনার একনাথ শিন্ডে শিবির পেতে চলেছে ‘শিবসেনা’ দলের নামটি। শুধু তাই নয়, বাল ঠাকরে প্রতিষ্ঠিত পার্টির চিহ্ন ‘তির ধনুক’এর প্রতীকও পাচ্ছে একনাথ শিন🉐্ডে শিবির। আর সব মিলিয়ে দেখতে গেলে, পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের পুত্র উদ্ধবের হাত থেকে শিবসেনার রাশ কার্যত চলে গেল একনাথ শিন্ডের হাতে। মারাঠা রাজনীতির বুকে যা অন্যতম বড় ঘটনা।
কমিশন তার বক্তব্যে জানিয়েছে, বর্তমানে শিবসেনার যে সংবিধান রয়েছে তা অগণতান্ত্রিক। কমিশন বলছে, বর্তমানে শিবসেনায়, কোনও নির্বাচন ছাড়াই অগণতান্ত্রিকভাবে একটি গোষ্ঠীর লোকদের পদাধিকার বলে নিয়োগ করা হয়েছে। এ ধরনের দলীয় কাঠামো আস্থা সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়, বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও বলা হয়েছে, শিবসেনার ২০১৮ সালের যে সংবিধান তা নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ হয়নি। ১৯৯৯ সালে দলের প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরে যে দলীয় সংবিধান রেখেছিলেন তার সংস্কার করে দলে গণতন্ত্রের নীতি ধরে রাখা হয়নি বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। (লিভ ইন সম্পর্কে মহিলারা কতটা নিরাপদ এদেশে? NCW প্রধান 🍬দিলেন অভিভাবকদের বার্তা)
প্রসঙ্গত, শিবসেনꦕার মধ্যে ফাটল বহু মাস আগেই দেখা দেয়। উদ্ধবের সঙ্গ ছেড়ে দলে বড় ভাঙন ধরিয়ে বেরিয়ে আসেন একনাথ শিন্ডে। পরবর্তীতে তিনি বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েন শিবসেনায় থাকা তাঁর পন্থী বিধায়কদের নিয়ে। শুরু হয় নতুন সরকার। যার মুখ্যমন্ত্রী হন স্বয়ং একনাথ। এর আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। প্রসঙ্গত, এই রাজনৈতিক পালাবদলে পর পর দু'বারই মহারাষ্ট্রের সরকার হিসাবে উঠে আসেন দুই শিবসেনা নেতা।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে যা দেখা যাচ্ছে, তাতে প🍰ার্টির প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের সন্তান উদ্ধব ঠাকরেই পার্টি থেকে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে শিবসেনার উদ্ধবপন্থী নেতৃত্বের অন্যতম সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, তাঁরা আইনি পথে এর মোকাবিলা করবে🦋ন। তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে।’ সবমিলিয়ে কার্যত মারাঠা রাজনীতিতে নতুন রাজনৈতিক সংঘাতের গণিতের হিসাব নিকেশ শুরু হয়ে গেল নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের হাত ধরে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App ব⛎াংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad𝄹.onelink.me/277p/p7me4aup