খরচের সম্পূর্ণ হিসেব চাই। নির্বাচন কমিশন এবার তা জানতে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে। করোনাভাইরাসের জেরে প্রথম থেকেই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নানা বদল এসেছে। নির্বাচনে প্রার্থীদের খরচের হিসাবনিকেশ জমা দিতে হয়। তাতে স্বাক্ষর করেন নির্বাচনী আধিকারিক এবং হিসেবরক্ষক পর্যবেক্ষক। সেখানে সশরীরে হাজির থেকে সেটা করতে হয়। কিন্তু এবার সেই নিয়মে ছেদ পড়েছে। কারণ অনলাইনে স্বাক্ষর করছেন হিসেবরক্ষক পর্যবেক্ষকরা। এমনকী এবার পুরোটাই হচ্ছে ভার্চুয়ালি।নির্বাচনের ফলপ্রকাশের একমাসের মধ্যে খরচের হিসাব দিতে হয় প্রার্থীদের। কোন খাতে কত টাকা খরচ করলেন, বরাদ্দ কত ছিল— সবটা স্পষ্ট উল্লেখ করতে হয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছিল, প্রার্থীদের খরচের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব রাখতে হবে। সেটা নজরদারির জন্য একজন হিসেবরক্ষক পর্যবেক্ষক তো ছিলেনই, সঙ্গে নজরদারিতে নিয়োগ করা হয় এজেন্সি এবং বিশেষ পর্যবেক্ষকদেরও।এবার সময় এসেছে নির্বাচন কমিশনকে হিসাব বোঝানোর পালা প্রার্থীদের। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বাকিটুকু হয়ে যাবে বলে নির্বাচন কমিশন আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। এই খরচের হিসাব জেলাগুলিতে জমা দেন প্রার্থীরা। সেখান থেকে তা পাঠানো হয় সিইও দফতরে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই নথিপত্র নিয়ে কলকাতার সিইও দফতরে আসতে কিছুটা চাপে পড়েছেন দূরের জেলার আধিকারিকরা। জমা পড়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে সিইও দফতর। তারপরে তা পাঠানো হবে নির্বাচন সদনে।