সদ্যসমাপ্ত হওয়া হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনে কর্চুরপির অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। সেই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেসের তোলা এই অভিযোগকে নির্বাচন কমিশন ‘ভিত্তিহীন’, ‘অর্থহীন’ এবং ‘ভুল’ বলে জান𝓀িয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকার জন্য কংগ্রেসকে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের মতে, এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ মানুষের মধ্যে অশান্তি তৈরি করতে পারে এবং সামাজিক শৃঙ্খলা ব্যাহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় ইভিএমে অসঙ্♑গতি, নির🌳্বাচন কমিশনের অভিযোগ ২০ জন কংগ্রেস প্রার্থীর
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে একটি চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে, হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন ৮ই অক্টোবর ভোট গণনা প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ সহ কংগ্রেস কমিশনের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ করেছিল। ২৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে কিছু ভোটকেন্দ্রে গণনা চলাকালীন ইভি𒐪এম কন্ট্রোল ইউনিটের ব্যাটারিতে ৯৯ শতাংশ চার🐼্জ নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল।
গত এক বছরের উদাহরণ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করেছে, ‘ভারতীয়⛄ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মূল দিকগুলির উপর লাগাতার ভিত্তিহীন সন্দেহ উত্থাপন করে আসছে কংগ্রেস। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করা হচ্ছে। কংগ্রেসের পক্ষে একটি অভিজ্ঞ দলের কাছে এটি কাম্য নয়, এই অভ্যাসটি হতাশাজনক। সাম্প্রতিক অতীতেও এই ধরনের ভিত্ত𝓀িহীন অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।’
নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, একটি জাতীয় রাজনৈতিক দলের কাছে এটি প্রত্যাশিত নয়। কমিশ𓆏ন দেশে নির্বাচনী গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে এবং শক্তিশালী করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির মতামতের সমালোচনাকে প্রশংসা করে এবং আশ্বাস দেয় যে এটি সময় মতো অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উল্লেখ্য, হরিয়ানার কংগ্রেস প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, গত ৮ অক্টোবর গণনার সময় বেশ কিছু ইভিএমের ব্যাটারি ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ ছিল, যা অসম্ভব। কারণ ভোটের দিন জুড়ে মেশিনগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। ফলে এত শতাংশ চার্জ থাকা সম্ভব নয়। তাই এই মেশিনগুলির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কংগ্রেসে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ব্যাটারি ব্যাকআপ দেখানো ইভিএমগুলিতে বিজেপির অনেক কম ভোট ছিল। এরপ🌸রেই নির্বাচন কমিশনের কাছে গণনার সময় কারচুপি নিয়ে অভিযোগ জ💃ানায় কংগ্রেস। সেই সংক্রান্ত অভিযোগের উত্তরে কংগ্রেসকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন।