ভোটিং ওমেশিনে নাকি খুব সহজেই কারচুপি করা সম্ভব! তাই, মার্কিন মুলুকের নির্বাচনী ব্যবস্থায় ব্যালট পেপারের পুরোনো পদ্ধতিই শ্রেয়! আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে একথা বললেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। এবিসি নিউজে তাঁর সেই মন্তব্য সম্প্রচার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানের মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠে ফিলাডেলফিয়া এবং অ্যারিজোনায় রিপাবলিকানদের পরাজয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট ভোটিংꦍ মেশিন নির্মাণকারী সংস্থা ডমিনিয়নকেই দায়ী করেছেন এক্স-এ🙈র কর্ণাধার।
তিনি বলেন, 'এ নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন তোলা হয়। এটা খুবই অদ্ভূত।... ফিলাডেলফিয়া এবং ম্যারিকোপা কাউন্টিতে⛄ এই মেশিনগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু, অন্যান্য বেশিরভাগ জায়গাতেই তা করা হয়নি। এটা মোটেও কাকতালীয় হতে পারে না।'
এই প্রসঙ্গ টেনেই মাস্ক বলেন, আমেরিকার নির্বাচনে কেবলমাত্র 📖ব্যালট পেপার ব্যবহার করা উচিত। এবং হাতে-হাতেই সেই ব্যালট গণনা করা উচিতಞ।
প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক নিজে প্রবলভাবে চান, হোয়াইট হাউসে আবারও একবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিরুন। তাই তিনি এবারের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্র🍌াম্পের পলিটিক্যꦉাল অ্যাকশন কমিটিকে ৭ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছেন। এবিসি নিউজ অনুসারে, এই হিসাবে এবারের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে মোট যত টাকা খরচ করা হচ্ছে, তার মধ্যে মাস্কের খরচই সর্বাধিক!
বৃহস্পতিবার আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মাস্ক নিজের সম্পর্কেও মন্তব্য করেন⛄। তিনি বলেন, 'আমি একজন প্রযুক্তিবিদ। আমি কম্পিউটার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি। আর 🍷আমি কখনই একটি কম্পিউটার প্রোগ্রামকে বিশ্বাস করব না। কারণ, সেটি হ্যাক করা অত্যন্ত সহজ।'
উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক তাঁর বক্তৃতা করার সময় ইভিএম উৎপা🍬দনকারী সংস্থা 'ডমিনিয়ন ভোটিং সিস্টেম কর্পোরেশন'-এর বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দেগেছেন। ডমিনিয়ন হল সেই সংস্থা, যারা গত বছর ফক্স নিউজ-কে আদালতে টেন♉ে নিয়ে গিয়েছিল।
ফক্স নিউজে দাবি করা হয়েছি♏ল, ডমিনিয়ন সংস্থা নাকি ভোটে কারচুপির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে, ফক্স নিউজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে ডমিনিয়ন কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ, ৭৮ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে ফক্স নিউজের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নেয় তারা।
এহেন ডমিনিয়ন কর্তৃপক্ষ যে মাস্কের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও জবাব দেবে না,🐬 সেটা তো হতে পারে না। এবিসি নি꧙উজে সম্প্রচারিত খবর অনুসারে, মাস্কের অভিযোগেরও জবাব দিয়েছে ডমিনিয়ন।
সংস্থার এক মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, 'সত্যিটা হল, ফিলাডেলফিয়ায় ডমিনিয়ন কোনও পরিষেবা দেয়নি। সত্যিটা হল, ভোটার ভেরিফায়েড ব্যালটের উপর নির্ভর করেই ডমিনিয়নܫ ভোটিং সিস্টেম চলছে। সত্যিটা হল, বারবার হাতে গুনে এবং বহুবার অডিট করার পর একথা প্রমাণিত যে ডমিনিয়ন সংস্থার তৈরি করা মেশিনের ফলাফল একেবারে সঠিক। নানা জনে নানা কথা বলতেই পারেন। তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু, সত্যিটা সবসময় যাচাই করে দেখা দরকার।'
এবিসি নিউজে আরও জানানো হয়েছে, মাস্কের এই মন𝐆্তব্যের আগেই ডমিনিয়ন কর্তৃপক্ষের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল।
সেই𝓀 বিবৃতিতে বলা হয়, '২০২৪ সালের নির্বাচনের আবহে নানা ধরনের দাবি করা হচ্ছে। আমরা মানুষকে বলব, নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্যের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র যাচাই করা এবং নির্ভরযোগ্য উৎসের উপরেই নির্ভর করুন।'