কয়েকদিন আগেই ইজরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন রয়টার্সের সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লা। আর এবার ইজরায়েলের বিমান হামলায় প্রাণ গেল আল জাজিরার গাজা ব্যুরো প্♕রধান ওয়ায়েল আল-দাহদৌয়ের গোটা পরিবার। জানা গিয়েছে, দাহদৌয়ের স্ত্রী, পুত্র এবং কন্যা গতকাল, বৃহস্পতিবার প্রাণ হারান। ইজরায়েলি বিমান হামলাতেই তাঁরা মারা যান বলে জানা গিয়েছে। দাহদৌয়ের কাছে যখন সেই খবর এসে পৌঁছায়, তখন তিনি রাজের সূত্রে বাইরে ছিলেন। গাজার রাস্তায় আরও সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে খবর সংগ্রহে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে পরিবারের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেই রাস্তায় ভেঙে পড়েন তিনি। কাঁদতে থাকেন তিনি। তাঁকে সামলানোর চেষ্টা করেন অন্যান্য🔯 সাংবাদিকরা। তাঁর সেই কান্নার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, মধ্য গাজার নুসেরত ক্যাম্প এলাকায় ছিল দাহ📖দৌয়ের বাড়ি। সেখানেই থাকতেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তান। অভিযোগ, ইজরায়েলের এক যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ‘এয়ার টু সারফেস’ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়। আর তাতেই মৃত্যু হয় সাংবিদকের গোটা পরিবারের। সেই ঘটনায় আরও অনেক প্যালেস্তিনীয় নাগরিক হতাহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে কোনও প্র𝓰তিক্রিয়া দেয়নি ইজরায়েল। তবে প্রশ্ন উঠেছে যেই এলাকায় সাধারণ মানুষের বসতি, সেখানে কেন হামলা চালানো হল ইজরায়েলের তরফে?
এর আগে ইজরায়েলের গোলায় মৃত্যু হয়েছিল রয়টার্সের সাংবাদিকের। ঘটনাটি ঘটেছিল লেবাননে। সেই ঘটনায় জখম হয়েছিলেন আরও ৬ সাংবাদিক। উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে আচমকাই ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। এই সুযোগে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালানো হয় লেবানন থেকেও। অভিযোগ, ইরান সমর্থিত হেজবোল্লা গোষ্ঠী♎ ইজরায়েলের ওপর হামলা চালাচ্ছে লেবানন থেকে। এই আবহে লেবাননকে পালটা জবাব দিয়েছে ইজরায়য়েলও। সেই জবাবি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল রয়টার্সের সাংবাদিকের। জানা গিয়েছে, ইজরায়েল সীমান্তের কাছে লেবাননের আলমা আল-শাবের কাছে ছিলেন আলজজিরা, এএফপি সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা। সেখানেই উড়ে আসে ইজরায়েলের রকেট। সেই সময় মৃত্যু হয় রয়টার্সের সাংবাদিকের। ঘটনায় রয়টার্সের আরও দুই সাংবাদিক, আলজজিরার ২ সাংবাদিক সহ মোট ৬ সাংবাদিকও এই হামলায় জখম হন।