আজ, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের একবার দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। এর আগে গত রবিবার কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই বৈঠকেই কেন্দ্রের তরফ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই সব প্রস্তাব খারিজ করে দেন কৃষকরা। তাতেই নাকি 'অবাক' হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। উল্লেখ্য, তুলো, ডালের মতো বেশ কিছু ফসলের ওপর পাঁচ বছরের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদানের একটি ব্যবস্থার কথা প্রস্তাব করেছিল সরকার। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই সব ফসলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন কৃষকরাই। এই আবহে কৃষক সংগঠনগুলি এই দাবি খারিজ করায় নাকি তারা অবাক। (আরও পড়ুন: 'আধার নিষ্ক্রিয়তায় 👍BJP-র বিরুদ্ধে চলে যেতে পারে বাংলা', শুভেন্দুর চিঠি মোদীকে)
আরও পড়ুন: বাংলার 'খলিস্তানি' বিতর্কের আঁচ পঞ্𝔍জাবে, BJP-র বিরুদ্ধে তোপ অꦐমৃতসরের গুরুদ্বারের
ডাল-তুলোর মত🐷ো বেশ কিছু ফসলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান করা হয় না। তবে দেশের স্বার্থে সেই সব ফসল ফলানোর জন্যে কৃষকদের উৎসাহিত করতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। সঙ্গে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, সেই সব ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা হবে। তবে আন্দোলনকারী কৃষকরা কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে।
উল্লেখ্য, রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার এবং কৃষকদের চতুর্থ দফার বৈঠক। সেই বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, বৈঠকে কৃষক নেতারা জলস্তর নেমে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই আবহে মন্ত্রী শস্য বৈচিত্র্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন। পীযূষ গোয়েল কেন্দ্রের নয়া প্রস্তাবের বিষয়ে বলেন, 'ধরুন গম ছেড়ে কৃষকরা যদি ডালের চাষ করেন। তাহলে ভারতকে কম পরিমাণ ডাল আমদানি করতে হবে। দেশের মানুষের চাহিদা মিটবে। জলস্তরের সমস্যা মিটবে।' এদিকে কৃষকদের আশঙ্কা, ডাল বা তুলোর মতো শস্য ফলনে তাঁদের লোকসানে পড়♈তে হতে পারে। কারণ এই ফসলগুলির ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেয় না সরকার। তাই তারা এই বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান। এই আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রস্তাব দেন, NCCF, NAFED-এর মতো সমবায় সমিতিগুলি পাঁচবছরের জন্য কৃষকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবে এবং শস্য বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে কাজ করবে। সেই সময় এই শস্যগুলির ন্যনতম সহায়ক মূল্যে কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করবে এই সমবায়গুলি। তুলোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে কৃষকদের মন এই প্রস্তাবে গলেনি। আর তাই আজ নতুন করে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন কৃষকরা।
এদিকে আজ 'দিল্লি চলো ২.০' শুরুর আগে কৃষকদের উদ্দেশে নয়া বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা। মন্ত্রী বলেন, 'আমি এই (বিক্ষোভের) সাথে যুক্ত কৃষক এবং কৃষক সংগঠনগুলির কাছে শান্তি বজায় রাখার জন্য আবেদন করব। আলোচনা থেকে সমাধানের দিকে এগোতে হবে আমাদের। এই বিষয়ে আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আমরা সবাই শান্তি চাই। এবং আমাদের একসাথে এই সমস্যার সমাধান খুঁজ😼ে বের করা উচিত। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার চেষ্টা করেছি এবং বেশ কিছু প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে তারা (কৃষকরা) আমাদের দেওয়া প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয়। তবে এই আলোচনা অব্যাহত রাখা উচিত এবং আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।'