খলিস্তানি জঙ্গি নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন সম্প্রতি এক ভিডিয়ো বার্তায় আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, পাকিস্তানে তাদের জন্যে অস্ত্র রাখা আছে। সরকারের বিরুদ্ধে যেন কৃষকরা সেই অস্ত্র তুলে নেয়। এই সব হুঁশিয়ারির মাঝে কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের প্রস্তাব খারিজ করেছে কৃষকরা। ফের ২১ তারিখ থেকে তারা দিল্লি যাত্রার প্রস্তু♕তি শুরু করেছে। এই আবহে এবার ১৭৭টি সোশ𓂃্যাল মিডিয়া অ্যাকান্টকে ব্লক করল কেন্দ্রীয় সরকার। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারার আওতায় এই অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্লক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কৃষক আন্দোলন ২.০ শুরু হতেই সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে চাইছে খলিস্তানিরা। এই আবহে আন্দোলনরত কৃষকদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বার্তা দেয় নিষিদ্ধ খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠন 'শিখস ফর জাস্টিস'-এর প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুন। এর আগে প্রথম দফার কৃষক আ♚ন্দোলনেও খলিস্তানিদের নাক গলানোর খবর সামনে এসেছিল। এবারও এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে বিচ্ছিনতাবাদীরা পঞ্জাবে অশান্তি ছড়াতে চাইছে। এই আবহে পান্নুন এক ভিডিয়ো বার্তায় কৃষকদের উদ্দেশে বলে, 'বুলেটের জবাব বুলেটের🤡 মাধ্যমেই দিতে হবে।'
ভিডিয়ো বার্তায় পান্নুন দাবি করে, পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিবে নাকি কৃষকদের জন্য অস্ত্র রয়েছে। রাজস্থান-পাকিস্তান সীমান্তের কাছেও নাকি কৃষকদের জন্য অস্ত্র রাখা আছে। এদিকে পান্নুনের এই ভিডিয়ো বার্তায় অস্বস্তিতে পড়ে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ সরাসরি এই সব দাবি উড়িয়ে দিয়ে পান্নুনকে পালটা তোপ দেগে বলে, পাকিস্তানকে বদনাম করতেই এই সব দাবি করা হয়েছে। এর আগেও ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় খলিস্তানি নেতা পান্নুন ভারতে হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানেও ❀হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সে। এদিকে গতবছরই পান্নুনকে খুনের ছক কষার অভিযোগে চেক প্রজাতন্ত্রে এক ভারতীয় নাগরিক গ্রেফতার হয়েছিল।
এদিকে রবিবার মধ্যরাতে শেষ হয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং কৃষকদের চতুর্থ দফার বৈঠক। এই বৈঠক থেকেও কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। তবে কিছু কিছু ফসলের ওপরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে সেই প্ꦕরস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন কৃষকরা। এই আবহে ফের একবার ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিল্লির পথে যাত্রা শুরু করবেন কৃষকরা। এই বিষয়ে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা জগজিৎ সিং দল্লেওয়াল সোমবার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করে পাম তে🌜ল আমদানিতে। এই পরিমাণ অর্থ যদি তারা কৃষকদের চাষের জন্য তৈলবীজের জন্য বরাদ্দ করে তাহলে, এটা তাদের উপকৃত করবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এখন যে (শস্য বৈচিত্র্য নিয়ে) প্রস্তাব দিয়েছে, তা শুধু সেই কৃষকদেরই উপকৃত করবে যারা ধান ধানচাষের মরশুমের মাঝে ডালের চাষ করতে পারবেন।