ভারতের সরকারি আধিকারিকদের ২৫ কোটি ডলারের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া অভিযোগ। এই আবহে মার্কিন মুলুকে একটি মামলায় ভাইপো সহ অভিযুক্ত হয়েছেন ধনকুবের গৌতম আদানি। এই আবহে গৌতন আদানি এবং তাঁর ভাইপো সহ বেশ কয়েকজন ভারতীয় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। এরই মাঝে এফবিআই সহকারী পরিচালক জেমস ডেনেহির অভিযোগ, আদানি ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। (আরও পড়ুন: কানাডায় নিজ্জর 🅠খু🌱নের ছকের বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন মোদী? অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলল ভারত)
রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন বিনিয়োগকারীদের প্রতারণা এবং কর্মকর্তাদের ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এনে আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। জানা গিয়ে✃ছে এই মামলায় গৌতম আদানির পাশাপাশি সাগর আদানি, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের൲ নির্বাহী এবং আজিউর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের নির্বাহী সিরিল কাবানেসকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতীয় আধিকারিকদের ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছিল তারা। এরই মাধ্যমে আমেরিকা এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে তারা টাকা তুলেছিল বাজার থেকে। দাবি করা হয়েছে, ২০২১ সালের জুলাই এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভারতীয় সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার প্রতিশ্রুত💟ি দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। ভারতীয় কর্মকর্তাদের ২৫ কোটির ডলারেরও বেশি ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে সৌরশক্তি সরবরাহের লাভজনক চুক্তি পেয়েছিল আদানি। এই চুক্তিগুলো থেকে ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলারের বেশি মুনাফা অর্জনের আশা করা হয়েছে।
রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, মার্কিন বিচার বিভাগ নাকি নিজেদের প্রেস রিলিজে বলেছে, অভিযুক্তরা ব্যক্তিগত ভাবে দেখা সাক্ষাৎ করে এই ঘুষ নিয়ে আলোচনা করতেন। কোনও মেসেজ অ্যাপেও তারা এই নিয়ে কথা বলতেন বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে সাগর আদানি নাকি নিজের ফোন ব্যবহারꦛ করেই ঘুষ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে নজর রাখতেন। এদিকে ঘুষ সংক্রান্ত নথির ছবি তুলতে নিজের ফোন ব্যবহার করেছিলেন বিনীত জৈন। এদিকে রূপেশ আগরওয়াল নাকি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এবং এক্সেল শিটের মাধ্যমে ঘুষ সংক্রান্ত তথ্য ভাগ করে নিতেন অন্যান্য অভিযুক্তের সঙ্গে।
এদিকে আদানির বিরুদ্ধে এই মামলার খবর সামনে আসতেই এশিয়ার বিভিন্ন বাজারে আদানির ডলার বন্ডের দাম পড়ে গিয়েছে। আদানি পোর্ট অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনের যে বন্ডের ম্যাচিউরিটি ২০২৭ সালের অগস্টে, সেটার দাম কমেছে ডলারে পাঁচ সেন্টেরও বেশি। এদিকে আদানি ইলেকট্রিসিটি মুম্বইয়ের যে বন্ডের ম্যাচিউরিটি ২০৩০ সালের ফেব্রুয়ারি, সেটির দাম কমেছে প্রায় ৮ সেন্ট। এদিকে আদানি ট্রান্সমিশনের বন্ডের দাম পাঁচ সেন্টেরও বেশি কমে ৮০ সেন্টে♌ গিয়ে ঠেকেছে বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। ২০২৩ সালে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট পরবর্তী ধাক্কার পর এবারই এতটা দাম কমল আদানির 🐎বন্ডের।