বুধবার মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। বিজেপি জোট ধরেই নিয়েছে তারা আবার ক্ষমতায় ফিরবে। কারণ বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষা তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশ শনিবার। সুতরাং বিজেপি জোট মহারাষ্ট্রে ফেরে কিনা বা নতুন সরকার গড়ে ওঠে কিনা তার জন্য অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। এই আবহে ভোট মিটতেই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ছুটে গেলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের দুয়ারে। সংঘ পরিবারের সদর দফতরে হঠাৎ মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি গ꧙ুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে।
এদিকে এই ঝটিকা সফর নিয়ে🍌 আগাম কেউ কিছুই জানতেন না। এখন মহারাষ্ট্রে যদি বিজেপি জোট ফিরে আসে তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? এই প্রশ্ন এখন মারাঠাভূমে খুব বেশি করে ঘোরাফেরা করছে। আর তাই আবার মুখ্যমন্ত্রী কুর্সিতে বসতেই মোহন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ফড়নবিশ বলে সূত্রের খবর। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদে আছেন একনাথ শিন্ডে। যাঁর ভাবমূর্তি একেবারে স্বচ্ছ নয়। নানা অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। দলের মধ্যেই বিভাজন রয়েছে তাঁকে নিয়ে। সেখানে একদা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রীর পদে ছিলেন। তাই আবার সেই পদ ফিরে পেতে চাইছেন তিনি। তাই আরএসএস ছাড়া সেটা লাভ করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ‘সংবিধান দিবস’ উপলক্ষ্যে বাংলার স্কুল পড়ুয়াদের কী দেবে প্রদেশ কংগ্রেস? নয়া উদ্যোগ
অন্যদিকে এই পদের আর একজন দাবিদার অজিত পাওয়ার। তিনিও তলে তলে ঘুঁটি সাজিয়ে ফেলেছেন। তাই সেটা জানতে পেরেই একেবারে তড়িঘড়ি মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলে রাখলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। যদিও এই বিষয়ে যে তিনি খেলে দিয়েছেন সেটা নিজে মুখে স্বীকার করেননি। মোহন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ভাগবতজি যখনই এই শহরে আসেন আমি গিয়ে দেখা করি। এটা একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাৎ।’ কিন্তু সৌজন্য সাক্ষাৎ গ𝕴োপনে কেন?ꩵ বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই এমন সাক্ষাৎ কেন? এইসব প্রশ্ন উঠছে।
এছাড়া এদিন বুথফেরত সমীক্ষার পর যুযুধান দু’পক্ষ ইন্ডিয়া এবং এনডিএ উভয় শিবিরের নেতৃত্বের দাবি, ‘আমরাই জয়ী হতে চলেছি।’ যদিও দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বক্তব্য, ‘আমি বুথফেরত সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করতে চাই না। চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করুন। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী মহাজুটি জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।’ মোহন ভাগবতের সঙ্গে প্রায় ১৫ মিনিট কথা বলেছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। শারদ পাওয়ার, উদ্ধব থ্যাকারে 𓂃ও কংগ্রেস এখন একদিকে। অপরদি꧒কে বিজেপি, একনাথ শিন্ডে এবং অজিত পাওয়ার। সেক্ষেত্রে ত্রিশঙ্কু হলে বিজেপিরই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, কাকে দলে টানবে তারা? কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে? মহারাষ্ট্রের শাসকজোটের তিন দলই মনে মনে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চায়। যদিও মহারাষ্ট্রে ২৮৮ আসনের মধ্যে গরিষ্ঠতার জন্য পেতে হবে ১৪৫টি আসন।