অনিরুদ্ধ ধরমোদীর পদবি নিয়ে তির্যক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। তার জেরে দুবছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। তবে পরে তিনি জামিনও পেয়েছেন। তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। এবার সেই লোকসভার সাংসদ পদ হারিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন রাজীব পুত্র রাহুল গান্ধী।তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের হয়ে আওয়াজ তোলার জন্য তিনি লড়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি যে কোনও দাম দিতে প্রস্তুত। কার্যত রাহুল গান্ধী যে পিছু হঠার মানুষ নন সেটাই যেন তিনি এদিন জানিয়ে দিলেন। কার্যত আরও লড়ে যেতে চান রাহুল। নতুন লড়াই। এদিকে কংগ্রেের তরফে দাবি করা হচ্ছে রাহুল গান্ধীর কণ্ঠরোধ করার জন্য নানা পরিকল্পনা নিচ্ছে বিজেপি।তবে সংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে প্রথমবার টুইট করেছেন রাহুল। হিন্দিতে তিনি লিখেছেন, ম্যায় ভারত কি আবাজ কে লিয়ে লড় রহা হু। ম্যায় হর কিমত চুকানে কে তৈয়ার হু। একেবারে স্পষ্টভাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। যেকোনও মাসুল দিতে তিনি তৈরি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কার্যত কোনওভাবেই মাথা ঝোঁকাবেন না তিনি। এটা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনও দাম দিতে তিনি রাজি। এদিকে গোটা দেশ জুড়েই বিজেপির বিরুদ্ধে তেড়েফুঁড়ে আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। বাংলাতেও এদিন কংগ্রেসের তরফে মিছিল বের করা হয়।এদিকে সংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে রাহুল গান্ধী কবে ভোটে লড়তে পারবেন তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। মোটামুটি নিয়ম অনুসারে আগামী ৮ বছর আর সংসদ ভোটে লড়তে পারবেন না রাহুল গান্ধী। তবে এটা থেকে বাঁচার পথও রয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালত রাহুল গান্ধীকে দুবছরের জন্য কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে অবশ্য় তিনি জামিন পেয়ে যান। সুরাট কোর্ট তাঁকে দুবছরের কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। ২০১৯ সালের একটি মানহানি মামলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। মোদীর পদবি নিয়ে আপত্তিকর শব্দ বলেছিলেন বলে অভিযোগ। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।রাহুল জানিয়েছিলেন, কেন সব চোরেদের পদবি মোদী হয়? কর্নাটকের কোলারে একটি নির্বাচনী সভায় তিনি একথা বলেছিলেন। তারপরই এক বিজেপি বিধায়ক রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। আর সেই মামলার জেরে তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।