𒐪 কর্মী সংকটের জেরে ১০ শতাংশ বিমান পরিষেবা কাটছাঁট করতে চলেছে ভিস্তারা। রবিবার টাটা গ্রুপের মালিকাধীন উড়ান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এতদিন দৈনিক যতগুলি বিমান চালানো হত, তার থেকে এখন ২৫-৩০টি কম বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মী সংকটের আগে দৈনিক ৩০০-র বেশি বিমান চালানো হত। কিন্তু পরিষেবা কমিয়ে দেওয়ার ফলে গত ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক যে সংখ্যক বিমান চালানো হত, সেই স্তরেই ফিরে গিয়েছে টাটা গ্রুপের মালিকাধীন সংস্থা। যে সংস্থা টাটা গ্রুপের এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়ার কথা আছে। কিন্তু সেটার আগেই কর্মী সংকটের মুখে পড়েছে ভিস্তারা। অনেক পাইলট জানান যে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার জেরে সোমবার (১ এপ্রিল) থেকে শনিবার (৬ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়।
🐈উড়ান সংস্থার এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা ভেবেচিন্তে দিনে ২৫-৩০টি বিমান কম চালানোর পথে হাঁটছি। আমরা এতদিন যে সংখ্যক বিমান চালাতাম, সেটার থেকে মোটামুটি ১০ শতাংশ কম। তার ফলে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে আমরা যে সংখ্যক বিমান চালাতাম, সেই স্তরেই ফিরে যাব। যা রোস্টারের উপর থেকে কিছুটা চাপ কমিয়ে দেবে। ’
আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া - দু'ধরনের উড়ানই বাতিল করা হচ্ছে?
🧜ভিস্তারার তরফে জানানো হয়েছে যে আপাতত মূলত ঘরোয়া বিমানের সংখ্যা কমানো হয়েছে। যে যে বিমানের কোপ নেমে এসেছে, সেগুলির যাত্রীদের জন্য ইতিমধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ভিস্তারার ওই মুখপাত্র বলেছেন, 'মূলত আমাদের ঘরোয়া উড়ান নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে বিমান বাতিল করা হয়েছে। আর বিমান ছাড়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই যাত্রীদের সেই বিষয়টি জানানো হয়েছিল, যাতে তাঁদের দুর্ভোগ কম হয়।'
🥃সেইসঙ্গে টাটা গ্রুপের মালিকাধীন উড়ান সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, '২০২৪ সালের এপ্রিলের জন্য যে যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তার ফলে ইতিমধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হয়েছে। গত কয়েকদিনে আমাদের সময়ানুবর্তিতা ভালো হয়েছে। এপ্রিলের বাকি দিনগুলি এবং তারপরও পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাবাদী আমরা।'
বিমানের ভাড়া বাড়বে?
𒀰বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মের ভরা মরশুমের সময় আকাশে বিমানের সংখ্যা কমে যাওয়ায় যাত্রীদের উপর ভাড়ার বোঝা বাড়বে। তাঁদের পকেট থেকে আরও বেশি টাকা খসবে। বিষয়টি নিয়ে মার্টিন কনসাল্টিংয়ের মার্ক মার্টিন বলেন, 'এরকম যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটার ফলে লাফিয়ে ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্যে গো ফার্স্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্র্যাট এবং হোয়াইটনির কারণে ইন্ডিগোরও ৬০ শতাংশ বিমান বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।'