আবার জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ালো দুর্গাপুর ব্যারেজ। আজ, রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৪২ হাজার ৮০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ♍বলে অভিযোগ। সেচ দফতর সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের পাঞ্চেত জলধার থেকে ২৫ হাজার কিউসেক এবং মাইথন জলাধার থেকে ৬০০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। তার জন্য দুর্গাপুর ব্যারেজে ক্রমশ বাড়ছে জলের চাপ। আর সেই জলের চাপ কমাতেই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বাড়ানো হচ্ছে জল ছাড়ার পরিমাণ। সুতরাং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দুর্গত মানুষজনের হাহাকার শোনা যাচ্ছে। নেপালে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বড় বিপদের মুখে পড়েছে বাংলাও। ৬ লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ছে কোশী নদীর বাঁধ। ৫ লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়ছে গন্ডকের বাঁধ। তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।
এদিকে নেপাল যদি বাড়তি জল ছাড়ে তাহলে বিহারের বন্যা অনিবার্য। কারণ শুধু নেপালেই এখনও পর্যন্ত ৫৯ জন মারা গিয়েছেন। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছেন বহু মানুষ। খোঁজ মিলছে না এখনও পর্যন্ত ৪৪ জন মানুষের। আর নেপালের জলের জেরে গঙ্গা, মহানন্দা, ফুলহারের জল আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে তেমন হলে। দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে মালদা, মুর্শিদাবাদ নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা। তার উপর ধস আর প্লাবনের জ🌠েরে দুর্গাপুজো শুরুর আগে দুর্দশা দেখা দিয়েছে উত্তরবঙ্গে। নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে সেখানে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 🌞দার্জিলিং, কালিম্পং, সিকিমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: পর্যটক সেজে রাতের শহরে মহিলা আইপিএস অফিসার, খতিয়ে দেখলেন নারী সুরক্ষা
অন্যদিকে ১ লক্ষ ২৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়ছে তিস্তার ব্যারেজ। জলপাইগুড়ির তিস্তাপাড়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়াও খারাপ থাকবে বলে পূর্বাভাস। ফলে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস🌃্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ এখন অনেকটা কমে গিয়েছে। কিন্তু ডিভিসির জল ছাড়া কমেনি। এই আবহে উত্তর–দক্ষিণ দুই বঙ্গই ভাসমান। আংশিক মেঘলা আকাশের দেখা মিলেছে। কখনও চড়া রোদ আবার কখনও ঘন কালো মেঘ ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ এখনও অনেক বেশি। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি এখনও বজায় থাকবে। আপাতত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা নেই দক্ষিণবঙ্গে।
এছাড়া আজ রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি🍃 খতিয়ে দেখবেন তিনি। এখন সেখানে সামান্য আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে বলে খবর। রাস্তা মেরামতির কাজ চলছে। কলকাতায় হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির সম্ভা🔯বনা আরও কমবে। সামনের সপ্তাহের মাঝে আবার বৃষ্টির পরিমাণ একটু বাড়তে পারে বলে রয়েছে পূর্বাভাস। সুতরাং দুর্গাপুজোর সময় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাতে মাটি হতে পারে দুর্গাপুজোর আনন্দ।