অস্ত্রোপচার চলাকালীন বিশ্বক🎉াপ ফুটবল দেখতে ব্যস্ত রোগী। হ্যাঁ, এমনই অভাবনীয় ঘটনাও ঘটল। বিশ্বের সেরা ফু♑টবলপ্রেমীদের যদি কোনও তালিকা করা হয়, ওনাকে তাতে নিঃসন্দেহে রাখা যেতে পারে।
প্রিয় দল বা তারকার খেলা দেখতে ক্রীড়াপ্রেমীদের উত্সাহ কারও অজানা নয়। ট্রেনে, বাসে, রাস্তাঘাটে, কলেজে এমনকি অফিসে বসেও ফোন বের করে খেলা দেখতে শুরু করে দেন অনেকে। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগেও অনেকে খেলা দেখতে বসে যান। রাস্তায় কোনও টিভির দোকান থাকলে তো কথাই নেই। সেখানেই পথচলতি ফুটবলপ্রেমীদের ভিড় জমে যায়। কিন্তু তাই বলে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময়েও খেলা দেখা? এমন আজব ঘটনা পৃথিবীতে ক'টি আছে, তাই নিয়ে সন্দেহ আছে। স্বাভাবিকভাবেই সেই ঘটনা ফ্রেমবন্দি করেছেন এক হাসপাতাল কর্মী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়েছে। মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর প্রধান আনন্দ মাহিন্দ্রা নিজে সেই ছবি পোস্ট করেছেন। ফলে আরও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ঘটনা। আরও পড়ুন: ব্🔯রাজিলের সাংবাদিক সম্মেলনে হঠাৎ ঢুকে পড়ল বিড়াল! কী হল তারপর?
কোথাকার 'ফুটবল পাগল' ইনি?
পোল𓂃িশ শহরের কিয়েলসের একটি হাসপাতালের ঘটনা এটি। সেই হাসপাতালেরই কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম শেয়ার করেন। রোগীর খেলা দেখার আগ্রহ দেখে চমকে গিয়েছেন চিকিত্সকꦕ-নার্সরাও।
আনন্দ মাহিন্দ্রা সেই ছবি শেয়ার করেছেন নিজের টুইটারে। তাতে দেখা যাচ্ছে, অপারেশন চলাকালীন ওই ব্যক্তি খেলা দেখছেন। ক্যাপশনে ম🉐জা করে ফিফাকেও ট্যাগ করেছেন আনন্দ মাহিন্দ্রা। তাতে লিখেছেন, 'ফিফা, আপনাদের কি মনে হয় না যে এই ভদ্রলোকেরও কোনও ট্রফি প্রাপ্য?'
'নোটস অফ পোল্যান্ড' নামে টুইটার পেজের মূল পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, 'পোল্যান্ডের একজন ব্যক্তি মেরুদণ্ডের অ্যানেস্থেশিয়া অবস্থায় অপারেশন চলাকালীনই বিশ্বকাপ ফুটবল দেখছিলেন। ছবিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীরা শেয়ার করেছেন।' আরও পড়ুন: অসম্মান ক𓃲রতে নয়, উপভোগ করতেই কাতার বিশ্বকাপে সাম্বাꦉ নাচ চলবে: ভিনিসিয়াস
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৫ নভেম্বর ওই ব্যক্তির শরীরের নিচের অংশে অস্ত্রোপচার করা হয়। তার আগে, ওই ফুটবল অনুরাগী ভয়ে ভয়ে সার্জনদের কাছে আবদার করে বসেন, 'অস্ত্রোপচারের সময় ওয়েলস এবং ইরানের ম্যাচ আছে। সেটা দেখতে পাব?' তাঁর এমন অনুরোধে চিকিত্সকরা হাসবেনꦗ না কাঁদবেন, বুঝতে পারছিলেন না। তবে অ্যানেস্থিয়া করে অপারেশন হবে। তাই ফুটবল পাগল ওই ব্যক্তির মুখের দিকে চেয়ে আর না বলতে পারেননি তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির জন্য অপারেশন থিয়েটারে একটি পেল্লায় টিভির ব্যবস্থা করে দেন।