প্রাগৈতিহাসিꦬক কুমির চার নয়, দুই পায়ে ভর করে হেঁটে বেড়াত। সম্প্রতি তাদের পায়ের ছাপ খুঁটিয়ে দেখে এই তথ্য জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার জিনজু ফর্মেশনে সংরক্ষিত জীবাশ্মে ধরা আছে প্রাগৈতিহাসিক যুগের ব্যাট্রাকোপাস গ্র্যানডিস (Batrachopus grandis) প্রজাতির🧸 কুমিরের পদচিহ্ন। সম্প্রতি তা বিশ্লেষণ করে নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করেছে চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার যৌথ গবেষক দল।
গবেষক দলের নেতা দক্ষিণ কোরিয়ার চিনজু ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ এডুকেশন-এর অধ্যাপক কিয়ং সু কিম জানিয়েছেন, ‘অনেকটা সমসাময়িক ডাইনোসরদের মতোই ছিল তাদের চলন। দেখলে মনে হত যেন তারা দড়ির ওপর দেহের ভারসাম্য বজায় রেখে হাঁটছে।ꦺ অথচ এইဣ পায়ের ছাপ ডাইনোসরের নয়।’
পায়ের ছাপ এবং কয়েক জায়গায় শরীরের চামড়ার ঘষটানির দাগ বিশ্লেষণ করকে বোঝা গিয়েছে, পিছনের দুই পায়ের সাহায্যেই চলাফেরা করত এই প্রজাতির কুমির।&ꦉnbsp;
এর আগে একই পায়ের ছাপ দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যত্র দেখা গিয়েছে, যা বিজ্ঞানীরা প্রাগৈতিহাসিক দু-পেয়ে উড়ন্ত সরীসৃপ জায়ান্ট টেরোসরাস-এর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু বর্তমান জীবাশ্মবিদ দলের সদস্যরা ꧂জানিয়েছেন, পায়ের ছাপের মালিক আসলে বিশাল মাপের বিশেষ কুমির প্রজাতির।
জীবাশ্মবিদদের দাবি, ব্যাট্রাকোপাস গ্র্যানডিস প্রজাতির কুমিররা তখনও ডাঙায় হাঁটাচলার ব্যไাপারে সড়গড় হয়ে ওঠেনি বলেই দুই পায়ে ভর দিয়ে দুলে দুলে চলত।
গবেষকরা জানিয়েছেন, দুই পায়ের ছাপের মধ্যে ব্যবধান খুবই কম থাকার অর্থ, হাঁটার সময় পায়ের জোড়া পাতা পরস্পরের কাছাকাছি থাকত। এ💜র মানে, প্রাগৈতিহাসিক এই জীব জমিতে হাঁটার সময় যথেষ্ট জড়োসড়ো থাকত। সেই সঙ্গে মাটিতে লেজের কোনও ছাপ না পড়ায় বোঝা গিয়েছে, চলাফেরার সময় জমি থেকে তারা লেজ তুলে রাখত। তাতেই স্পষ্ট যে, তারা চার পায়ের বদলে দুই পায়ে হাঁটত।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্যাট্রাকোপাস গ্র্যানডিস প্রজাতির কুমিররা ক্রেটেশাস যুগের প্রাথমিক ভাগে পৃথিবীর বুকে চরে বেড়াত। তবে শুধু তারাই দুই পায়ে চলা কুমির ছিল না। ২৫ কোটি বছর আগে আরও বেশ কিছ♊ু দু-পেয়ে কুমির প্রজাতির বাস ছিল নীলগ্রহে।