২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর এই প্রথমাবর কেন্দ্র এবং উপত্যকার রাজনীতিবিদদের মধ্যকার বরফ গলার ইঙ্গিত মিলল। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে একটি সর্বജদল বৈঠকের ডাক দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর প্রথমবার রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে এধরনের বৈঠক হতে পারে। সেই বৈঠকের জন্যে ইতিমধ্যেই পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি সহ উপত্যকার একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের এই বৈঠকের জন্য অনানুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে অংশ নিতে পারেন উপত্যকার রাজনীতিবিদরা।
ইতিমধ্যেই অনানুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে পিডিপির তরফে। পিডিপির মুখপাত্র সুহেল বুখারি জানান, তাঁরা আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাবেন 💝বলে আশা করছেন। এদিকে ন্যাশনাল কনফারেন্সও এই আমন্ত্রণ পেয়েছে বলে সূত্রের খবর।ꦡ তবে এই আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা জানা নেই বলে দাবি ন্যাশনাল কনফারেন্সের অধিকাংশ নেতার।
এই প্রসঙ্গে ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র ইমরান নবি বলেন, 'এরকম কোনও আমন্ত্রণের বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে বরফ গলছে। দল এখনও আগের অবস্থানেই অনড়। তবে আলোচনার জন্যে সব সময়ই দরজা খোলা আমাদের দলের।' উল্লেখ্য, এর আগে ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফে দাবি করা হয়েছিল♓, আগে ৩৭০ ধারা ফের লাগু করতে হবে, তারপরই কোনও আলোচনা হওয়া সম্ভব।
এদিকে আপনি পার্টি প্রধান আলতাফ বুখারির দাবি তিনি এখনও কোনও আমন্ত্রণ পাননি। তবে যেকোনও আলোচনাকে তিনি স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন যে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি 🌸স্থানীয় কাশ্মীরিদের চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ জারি করতে হবে। এর আগে গতবছর প্রধআনমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বুখারি।
এদিকে কংগ্রেস, সিপিএম♓-এর দাবি যে তাদেরকেও কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতা তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদকে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। এদিকে আলোচনার পক্ষে মত দিয়েন সজ্জাদ লোনও।