সেই ২০২০ সাল থেকে লাদাখের বেশ কয়েকটি জায়গাতেই ভারত ও চিনের সেনার মধ্যে টহলদারি নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়েছিল। এর জেরে ভারতের প্রায় ২০ জন জওয়ান শহিদও হয়েছিলেন। প্রায় ৫ বছর পর কোন অঙ্কে দুই দেশ ঐক্যমতে পৌঁছল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে? পুণেতে এক অনুষ্ঠানে সেই বিষয়ে মুখ খুললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তাঁর দাবি, চিনের সাথে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার চুক্তি করতে কূটনীতির পাশাপাশি বড় ভূমিকা পালন করেছে ভারতীয় সেনার দৃঢ় মানসিকতা। উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই চিনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছিল মোদী সরকার। চিনা অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থেকে চিনা মোবাইল সংস্থাগুলির অর্থ তছরুপের মামলা নিয়ে তদন্ত। ওদিকে ভারতীয় সেনাও লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সামনে জমি কামড়ে পড়েছিল। চিনা সেনার সামনে তারা মাথা নত করেনি। এই আবহে ভারত ও চিনা সেনা অবশেষে সহমত হয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহল নিয়ে। (আরও পড়ুন: লাদাখের বদলে অরুণাচলে চিনকে 🌄ছুট? সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বিস্ফোরক দাবি ওয়াইসির)
আরও পড়ুন: প্যান ডি 𝓡থেকে শেলকাল, প্রকাℱশিত নিম্নমানের ওষুধের পূর্ণাঙ্গ তালিকা, দেখুন একনজরে
এই নিয়ে জয়শংকর পুণের অনুষ্ঠানে বলেন, 'আমরা আজ যেখানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছি, তার মূলত দুটো কারণ রয়েছে। এক হল, আমরা খুবই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। আমরা আমাদের জায়গা থেকে এক চুল নড়িনি। সরকার নিজেদের অবস্꧅থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম। আর এটা সম্ভব হয়েছিল কারণ ভারতীয় সেনা সেখানে অল্পনীয় পরিস্থিতির মধ্যেও দেশকে রক্ষা করে চলেছিল। সেনা নিজেদের ভূমিকা পালন করেছিল এবং কূটনীতি নিজেদের ভূমিকা পালন করেছিল। আর দ্বিতীয়ত, গত এক দশকে আমরা সেখানে আমাদের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটিয়েছি। আমার মতে এই সব কিছুর মেলবন্ধনেই আজকে আমরা এই পরিস্থিতিতে আসতে পেরেছি। যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মুখোমুখি হয়েছিলেন, তখনই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে এর পরে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টারা বৈঠক করবেন এবং ভবিষ্যতে এই বিষয়টি কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন।'
এদিকে এদিকে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে। ২৮ থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নꦕিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে দাবি করা হয়েছে, এই মাসের শেষেই এই সব এলাকায় শুরু হয়েছে যাবে দুই দেশের সেনার টহল। এই আবহে প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কাটতে চলেছে লাদাখে। রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পশ্চিম দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় 'বটলনেক' অঞ্চলে টহলদারির ক্ষে🦂ত্রে ভারতীয় সেনাকে আর বাধা দেবে না চিন। এই 'বটলনেক' অঞ্চলটি ভারতের দাবি করা এলাকার ১৮ কিলোটিমার ভিতরে বলে জানা যায়। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়ে ফেলেছিল চিন। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে।