'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদ♊ী না থাকলে এটা সম্ভব হত না'- ভোররাতের দিকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসার পর আবেগতাড়িত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন আধিকারিকরা। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের টিমের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কাতারে মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়ার পর থেকে কূটনৈতিক স্তরে যেভাবে ভা🙈রত সরকার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, সেটার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। দিল্লি বিমানবন্দরের বাইরে এক প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী হস্তক্ষেপ না করলে এটা সম্ভব হত না। এত উঁচু জায়গা থেকে যদি হস্তক্ষেপ না করা হত, তাহলে আজ আমরা আপনাদের (সাংবাদিক) সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম না। ভারত সরকারের লাগাতার প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।’
তিনি যখন ক🙈থাগুলো বলছিলেন, তখন তাঁর চোখেমুখে স্বস্তি লেগে ছিল। মুখে ছিল হাসি। সম্ভবত ২০২২ সালের অক্টোবরের পর প্রথমবার হাসলেন তিনি। যখন থেকে তাঁরা জেলে ছিলেন। ঠিক একইরকম অনুভূতি হচ্ছিল ভারতীয় নৌসেনার আরও এক প্রাক্তন অফিসারকে দেখে। দেশের মাটিতে পা দিয়ে হৃদয়টা শান্ত হওয়ার মধ্যেই তিনি বলেন, 'ভারতে ফেরার জন্য আমরা প্রায় ১৮ মাস ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ হয়ে থাജকব। তিনি ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ না করলে এবং কাতারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়ন এত ভালো না হলে কখনও এটা সম্ভব হত না। হৃদয় থেকে ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ আমরা। ভারত সরকার যে প্রচেষ্টা করেছে, সেটা ছাড়া আজকের দিনটা দেখা সম্ভব হত না।'
শুধু তাঁরা নন, যেভাবে ভারতীয় নৌসেনার আটজন প্রাক্তন অফিসারকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছে ক্যাপ্টেন মোদীর নেতৃত্বাধীন টিম জয়শংকর, তাতে অত্যন্ত প্রশংসার যোগ্য বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। কারণ গত বছর ২৬ অক্টোবর কাতারে ভারতীয় নৌসেনার আটজন প্রাক্তন অফিসারকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে প্রথমে তাঁদের সাজা কমাতে সাহায্য করেছে টিম জ🌌য়শংকর। গত ২৮ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড মকুব করে দেয় কাতার।
আর এবার একেবার👍ে তাঁদের মুক্ত করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে সাতজন ভারতে ফিরে গিয়েছেন। একজনকেও দেশে ফেরানোর জন্য যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। তিনিও শীঘ্রই দেশে ফিরবেন বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট মহল। আপাতত তাঁর আশায় বসে আছেন সকলেই।