৯০ ফুটের আসꦅ্ত একটা ব্রিজ, আর সেটিই হল চুরি। আর সဣেই ব্রিজ ছিল দেশের তাবড় শিল্পপতি গৌতম আদানির বিদ্যপৎ প্রকল্প সম্পর্কিত সংস্থার। ধাতব ওই ব্রিজে রয়েছে ৬ হাজার কিলোর লোহা। আর সেই ব্রিজই চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগের জেরে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।
মুম্বইয়ের মালাড এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষ🎶েত্রে ওই ধাতব ব্রিজ ব্যবহৃত হত। আর সেই ৯০ ফুটের আস্ত ব্রিজ চুরির অভিযোগ ছিল ৪ জনের বিরুদ্ধে। শেষমেশ সেই ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ব্রিজ সাময়িক কিছুদিনের জন্য কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে তৈরি করা হয়েছিল। ব্রিজ নির্মাণ হয়েছিল ২০২২ সালে। তখন তা সাময়িকভাবে নির্মাণ হয়েছিল। এরপর সেটিকে স্থায়ী ব্রিজ হিসাবে তৈরি করতে দরকার ছিল কিছু অনুমোদনের। সেই অনুমোদন আসার পর ২০২৩ সালের এপ্রিলে তা স্থায়ী ব্রিজের আকার নেয়। অস্থায়ী যে ব্রিজটি ছিল তা মালাড ব্যাক রোডে খানিক সপ্তাহ আগে স্থানান্তরিত হয়। আচমকাই রহস্যজনকভাবে ওই ব্রিজ উধাও হয়ে যায় জুন মাসে। এতবড় আস্ত ব্রিজ উধাও হতে দেখেই তোলপাড় শুরু হয়। খহর যায় পুলিশের কাছে। গত ২৬ জুন একটি এফআইআর দায়ের হয়।
আদানি ইলেক্ট্রিসিটির এক অফিসার জানান ওই ব্রিজের মূল্য ২ লাখ টাকা। এই তথ্য উল্লেখ করে প🧜্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। এদিকে, পুলিশ তদন্তে নেমে ব্রিজটি শেষবার কোথায় দেখা গিয়েছে তা লক্ষ্য করে। দেখা যায় ৬ জুন এই ব্রিজকে শেষবার দেখা গিয়েছে। যে এলাকায় ৬ জুন শেষবার ওই ব্রিজটি দেখা গিয়েছিল, সেখানে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। এদিকে, পুলিশ শুরু করে খোঁজ। আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে পুলিশ তত্ত্ব তলাশ করে। তদন্তে উঠে আসে একটি বিশেষ গাড়ি। যে গাড়িতে রয়েছে গ্যাস কাটার। সূত্র ধরে এগোয় পুলিশ। জানা যায় ওই গ্যাস কাটিং মেশিন দিয়েই অভিযুক্তরা ৯০ ফুটের আদানিদের ব্রিজ রাতারাতি চুরি করে ফেলে। যে সংস্থাকে ব্রিজ বানানোর সত্ত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেই সংস্থার একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারপরই পর পর ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই চুরির ঘটনায় খোয়া যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। এর নেপথ্যে আরও কেউ রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।