বাংলাদেশে দুর্গাপুজো মণ্ডপ এবং মন্দিরে তাণ্ডবের ঘটনার তীব্র নিন্দা করল আমেরিকা। কোনওরকম ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে না বলে সরাসরি বলা হয়েছে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হিংসা চলেছে। সেই হিংসাত্মক ঘটনায় শেখ হাসিনা সরকারকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আর্জি জানানো হল। আমেরিকার বক্তব্য, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা হল মানবাধিকার।’বুধবার (স্থানীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার) মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘দুর্গাপুজোর সময় হিন্দু মন্দির এবং প্রতিষ্ঠানে সম্প্রতি যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তার নিন্দা করছি আমরা। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। প্রশাসনকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আর্জি জানানো হচ্ছে। ধর্মীয় স্বাধীনতা হল মানবাধিকার।’ সেই টুইটের কিছুক্ষণ পরই আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন দফতরের তরফে টুইটারে বলা হয়, 'বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর ভয়ঙ্কর হামলায় আতঙ্কিত আমরা। কোনওরকম হিংসা বা ভয় ছাড়াই হিন্দু-সহ সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অবাধে উপাসনা করার অধিকার রয়েছে।' উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর মধ্যে বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি পুজো মণ্ডপে কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নোয়াখালিতে ইসকনের মন্দিরে তাণ্ডব চালানো হয়। প্রাণহানিরও সাক্ষী থাকে নোয়াখালি। তারইমধ্যে গত কয়েকদিন ধরে ফেনী এবং নোয়াখালিতে যে হিংসা ছড়িয়েছে, তার জেরে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।