একটা নেতিবাচ🔥ক রিপোর্ট। তাতেই একদিনে ৪৮,০০০ কোটি টাকা খুইয়েছেন ধনকুব গৌতম আদানি। সেই পরিস্থিতিতে যে মার্কিন সংস্থা ওই নেতিবাচক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, সেই Hindenburg Research-র বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়ার কী কী সুযোগ আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি করল আদানি গ্রুপ।
বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে আদানি গ্রুপের আইন বিভাগের প্রধান যতীন জালুন্ধওয়ালা দাবি করেছেন, 'বিদ্বেষপূর্ণ' মনোভাব থেকে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যা আদানি গ্রুপ, ♛শেয়ারহোল্ডার এবং বিনিয়োগকারীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড🦹়েছে। ওই রিপোর্টের ফলে ভারতীয় শেয়ার বাজারে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তা গভীর উদ্বেগের। যা ভারতীয়দের মধ্যে অযাচিত উদ্বেগ তৈরি করেছিল।
আদানি গ্রুপের তরফে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করে জানিয়েছে, বিনিয়োগকারী এবং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে একটি বিদেশি সংস্থা যে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ' করেছে, তাতে অত্যন্ত বিরক্ত হয়েছে আদানি গ্রুপ। আদানি এন্টারপ্রাইজ যে ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছে, তা প্রভাবিত হয়েছে। আদানি গ্রুপের আইন বিভাগের কথায়, 'Hindenburg Research-র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের জন্য আমেরিকা এবং ভারতীয় আইনের উপযুক্ত ধারাগুলি খত꧂িয়ে দেখছি আমরা।'
গত মঙ্গলবার মার্কিন সংস্থা Hindenburg রিসার্চের তরফে জানানো হয়, আর্থিক দিক থেকে আদানি গ্রুপ বেশ চাপের মধ্যে আছে। আদানি গ্রুপের সাতটি শেয়ার আপাতত বাজারে তালিকাভুক্ত আছে। কিন্তু ওই সংস্থাগুলির 𝄹শেয়ারে প্রায় ৮৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রভাব আছে। তাই ওআর্থিক দিক থেকে আদানি গ্রুপ অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গায় বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: Adani গ্রুপ নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্ট ব♑ের হতেই তুমুল পতন সংস্থার ৭টি শℱেয়ারে
ওই রিপোর্টের পরেই শেয়ার বাজারে ধাক্কা যায় আদানি গ্রুপ🍃। বুধবার শেয়ার বাজারে সর্বাধিক ৮.০৮ শতাংশ পতনের মুখে পড়ে আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার। তাছাড়াও আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোনের শেয়ার ৬.১৩ শতাংশ, আদানি উইলমারের শেয়ার ৪.৯৯ শতাংশ, আদানি পাওয়ারের শেয়ার ৪.৯৫ শতাংশ, আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ার ৩.৯ শতাংশ, আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ার ২.৩৪ শতাংশ এবং আদানি𒐪 এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারে ১.০৭ শতাংশ পতনের মুখে পড়েছিল।
শেয়ার বাজারে যে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থাগুলি ধাক্কা খায়, তার প্রভাব পড়ে আদানির ব্যক্তিগত সম্পদের উপরও। ব্লুমবার্গ বিলিনেওয়ার্স ইনডেক্স (যা নিউ ইয়র্কে প্রতিদিন বাজার বন্ধের পর তথ্যের ভিত্তিতে নিরꦚ্ধারিত হয়) অনুযায়ী, একদিনেই আদানির সম্পদের পরিমাণ ৪৮,৬০০ কোটি টাকা বা পাঁচ শতাংশ কমে গিয়েছে (আপাতত তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১১৩ বিলিয়ন ডলার)।