হামাসকে মদত দিয়ে তিনজন অপহৃতকে নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন এক সাংবাদিক। তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অপহৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করল ইজরায়েলের বাহিনী। সেই অভিযানের সময় গাজার সাংবাদিক ꦛআবদাল্লা আলজামালের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অবশ্য ইউরো মেড মানবাধিকার সংগঠনের প্রধান র্যামি আবদু দাবি করেছিলেন যে সাংবাদিকের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে হত্যা করেছে ইজরায়েলের বাহিনী। হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিকের স্ত্রী এবং বাবাকেও। ইজরায়েল অবশ্য স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে অপহৃতদের বাড়িতে আটকে রেখেছিলেন ওই সাংবাদিক।
কাদের কাদের নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন ওই সাংবাদিক?
একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্য গাজার নুসিরাতে নিজের বাড়িতে তিনজনকে আটকে রেখেছিলেন আলজামাল। তিনি আবার হামাস-পরিচালিত শ্রম মন্ত্রকের মুখপাত্র ছিলেন। গত শনিবার তাঁর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আলমোহ মের জান (২১), আন্দ্রি কোজলোভ (২৭) এবং শ্লোমি জিভকে (৪১) উদ্ধার করেছেন ইজরায়েলের স্পেশাল ফোর্সের জওয়ানরা। নিকটবর্তী একটি বাড়ি থেকে চতুর্থ অপহৃত নোয়া আরগামানিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই অভিযানের সময় হত্য🍌া করা হয়েছে আলজামালকেও।
আরও পড়ুন: ♈Salman Rushdie: আমেরিকার পড়ুয়ারা কীভাবে হামাসকে সমর্থন করলেন, উদ্বেগ প্রকাশ রুশদির
ওই ঘটনার পরে ইজরায়েলের ড꧒িফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, আইডিএফ এবং শিন বেট সুরক্ষা বাহিনী নিশ্চিত করতে পারছে যে নুসিরাতে নিজের পরিবারের সঙ্গেই আলজামাল তিনজন অপহৃতকꦓে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে সাধারণ মানুষকে নিজেদের সুরক্ষাবর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস জঙ্গিরা।
ইউরো মেড মানবাধিকার সংগঠনের প্রধানের অভিযোগ
ইজরায়েলের ডিফেন্স ফোর্সের তরফে সেই বিবৃতি জারি করা হয়েছে ইউরো মেড মানবাধিকার সংগঠনের প্রধানের অভিযোগ সামনে আসার পরে। গত শনিবার রাতের দিকে একটি ছবি দেখিয়ে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, নুসিরাত শিবিরে যে ইজরায়েলের সেনা হত্যালীলা চালিয়েছে, সেটার প্রমা🅰ণ এটাই। ইউরো মেড জানতে পেরেছে যে মই ব্যবহার করে আলজামালের বাড়িতে ঢুকেছিল ইজরায়েলের সেনা। সিঁড়িতেই আলজামা𓃲লের স্ত্রী'কে হত্যা করা হয়। তারপর বাড়িতে ঢুকেই হত্যা করা হয় আলজামাল এবং তাঁর বাবাকে।
বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরো মেড মানবাধিকার সংগঠনের প্রধানের অভিযোগ নিয়ে ইজরায়েলের ডিফেন্স ফোর্সের তরফে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে ইজরায়েলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে সাধারণ মানুষকে আটকে রেখেছিলেন আলজামাল। যিনি ২০১৯ সালে সংবাদমাধ্💦যম আল জাজিরায় একটি কলাম লিখেছিলেন বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তবে আল জাজিরার তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে আলজামাল তাঁর সংস্থায় কাজ করতেন না।
আরও পড়ুন: Indian Dead in Gaza war: গাজায় মৃত𝓡্যু র꧂াষ্ট্রসংঘের হয়ে কর্মরত ভারতীয়র, গাড়িতে চালানো হয়েছিল হামলা