গাজার রাফায় রাষ্ট্রসংঘের হয়ে কর্মরত এক ভারতীয় নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গাজায় ইজরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম কোনও বিদেশি সেখানে প্রাণ হারালেন। জানা গিয়েছে, সেই ভারতীয় গাড়ি করে রাফায় ইউরোপীয় হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা হয়। এতে মৃত্যু হয় সেই ভারতীয়র। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত ভারতীয় রাষ্ট্রসংঘের ডিপার্টমেন্ট অফ সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটির কর্মী ছিলেন। এই আবহে ত্রাণকর্মীদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে এ হামলার ঘটনায় শোক ও নিন্দা জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব। (আরও পড়ুন: পুজোর আগে সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়💜ে অবশেষে আসতে পারে বড় খবর)
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান🦩কে চুড়ি পরিয়ে দেব', বিরোধীদের 'কাপুরুষ' আখ্যা দিয়ে তোপ মোদী🉐র
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, 'রাফায় কর্মীদের সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। আজ সকালে রাফায় ইউরোপীয় হাসপাতালে যাওয়ার সময় রাষ্ট্রসংঘের গাড়ির ওপর হামলা হয়। এর জেরে এক ডিএসএস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও একজন ডিএসএস কর্মী গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত। হওয়ার খবর শুনে গভীরভাবে দুঃখ পেয়েছেন। মহাসচিব জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের ওপর সব হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং এর পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।' (আরও পড়ুন: নির্বাচনের ♕মাঝেই 'অঙ্🍎ক' কষে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা বাতলে দিলেন অমিত শাহ!)
আরও পড়ুন: চাবাহার নিয়ে ভারত-ইরান চুক্তিতে তেলেবেগুনে জ্বলল USA, দ📖িল নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি
রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘের ১৯০ জনেরও বেশি কর্মী নিহত হয়েছেন। এদিকে গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গতবছর ৭ অক্টোবর সকাল সকাল কয়েক হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইজরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস জঙ্গিরা সীমান্তের কাটাতার কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অমানবিক তাণ্ডব চালায় তারা। সাধারণ মানুষকে বাড়িতে ঢুকে ঢুকে খুন করে হামাসের বন্দুকবাজরা। সঙ্গে অনেককেই অপহরণ করে তারা। এরপর ইজরা൲য়েলও পালটা জবাবি হামলা চালায়। শুরু হয় যুদ্ধ। কয়েক হাজার প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে তাতে। গাজায় যা পরিস্থিতি, তাতে সবথেকে বেশি ভুক্তভোগী সাধারণ নিরপরাধ প্যালেস্তিনীয়। যুদ্ধ শুরুর সময়ে গাজায় ২৩ লাখের বসবাস ছিল। তবে ক্রমেই কয়েক লাখ মানুষ গাজা ছেড়েছেন। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্যালেস্তাইন অথোরিটির থেকে গাজা ভূখণ্ডের ক্ষমতা জোর করে ছিনিয়ে নিয়েছিল হামাস। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্ত নয় তাদের সেই সরকার। তবে আক্ষরিক অর্থে গাজার প্রশাসন তাদেরই হাতে। আর এই হামাসের বিরুদ🐲্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে ইজরায়েল। তবে এই যুদ্ধে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।