ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এবছরের জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। এবছর জি২০-র প্রেসিডেন্ট দেশ ব্রাজিল। এই আবহে বিশ্বের তাবড় দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারা ব্রাজিলে যাবেন আর কয়েকদিনের মধ্যেই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই জি২০ সম্মেলন শুরুর আগেই মোদী, পুতিন, বাইডেন, জিনপিংদের বিশাল বড় কাটআউট জলে ডুবিয়ে অভিনব প্রতিবাদ প্রদর্শন করতে দেখা গেল সেদেশের আদিবাসীদের। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দৃঢ় পদক্ষেপের দাবিতেই এই প্রতিবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় 🌳পৌঁছে 'আবুজার চাবি' পেলেন মোদী, আফ্রিকার মাটিতে উপ🧜চে পড়ল মারাঠি আবেগ)
জানা গিয়েছে, বোটাফোগো বে অঞ্চলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট আরসুলা ভন ডের লিয়েন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্♋রী নরেন্দ্র মোদী, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার মুখের বিশাল কাটআউট জলে আর্ধেক ডুবিয়ে রাখা হয়। সেখানে পরিবেশবিদরা জি২০ দেশগুলির নেতাদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা তুলে ধরে ব্যানারও প্রদর্শন করেন। তাতে লেখা ছিল - 'জি২০: সময় শেষ। পরিবেশ নিয়ে🌊 পদক্ষেপ করুন নয়ত ডুবে যান।'
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়া, ব্রাজিল✅ ও গায়ানায় পাঁচ দিনের সফর শুরু করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আপাতত তিনি নাইজেরিয়ায় আছেন। সেখান থেকে তিনি যাবেন ব্রাজিলে। ব্রাজিলে তিনি ট্র𝔍য়কা সদস্য (জি২০-র আগের প্রেসিডেন্ট, বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং আগামী প্রেসিডেন্ট দেশ) হিসেবে ১৯তম জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। আগামী ১৮-১৯ নভেম্বর রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এদিকে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সেই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে গতবছর জি২০-র প্রেসিডেন্ট দেশ ছিল ভারত। গতবঠছরের সম্মলনের ঘোষণায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদন ক্ষমতা ৩ গুণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছিল। এরই সঙ্গে বিশ্বজনীন জৈব জ্বালানী জোট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এক স্বচ্ছ ও সবুজ বিশ্ব গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখার কথা বলা হয়েছিল গত জি২০ সম্মেলনে। দিল্লি ঘোষণাপত্রে জলবায়ু সংক্রান্ত ন্ꦫযায়-বিচার ও সাম্যের প্রতি সব সদস্য দেশের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এজন্য গ্লোবাল নর্থ বা সম্পন্ন বিশ্বের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার আবেদন জানানো হয়েছিল। এর জন্যে উন্নয়নশীল দেশগুলির ৫.৯ ট্রিলিয়ন ডলার লাগবে বলে জি২০ সম্মেলনে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল।