২০২৪ সালের মার্চ মাস ছিল সর্বকালের সবচেয়ে উষ্ণ মাস। গত বছরের জুন মাসের পর এটি টানা দশম মাসে নতুন তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছে। এমনটাই বলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু সংস্থা। সংস্থাটির দাবি, এল নিনো এবং মানব সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মিলিত প্রভাবের কারণে এই দুর্ভোগ সইতে হয়েছে মানব সভ্যতাকে এবং ভবিষ্যতে আরও সহ্য করতে হবে। কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (C3S) জানিয়েছে যে মার্চ মাসে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৪.১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ১৮৫০-১৯০০ সালের গড় তাপমাত্রার থেকে ১.৬৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।বিশ্বকে বাঁচাতে হাতে মাত্র ২ বছর বাকিএদিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু প্রধান সাইমন স্টিল বুধবার জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে একটি বড় সতর্কবার্তা জারি করেছেন। জানিয়েছিলেন যে জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে বিশ্বের হাতে মাত্র দুই বছর বাকি আছে। স্টিল বিশ্বের দেশগুলিকে প্যারিস চুক্তির অধীনে তাদের জলবায়ু পরিকল্পনাগুলিকে জরুরীভাবে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন তাই।পৃথিবীর তাপমাত্রা লাফিয়ে বাড়ছেপৃথিবীর বৈশ্বিক পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ১৮৫০-১৯০০ সালের গড়ের তুলনায় প্রায় ১.১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গত ১২৫,০০০ বছরে সাম্প্রতিক বরফ যুগের আগে কখনও দেখা যায়নি। আর উষ্ণতা যাতে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই সীমাবদ্ধ করা যায়, তার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৩ শতাংশ কমাতে হবে।আর নাহলে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিই বিশ্বজুড়ে আরও খরা, বনে আগুন এবং বন্যার প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাস, প্রাথমিকভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেনের ঘনত্ব দ্রুত বৃদ্ধির কারণে ঘটে। এ প্রসঙ্গে কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিসর ডেপুটি ডিরেক্টর সামান্থা বার্গেস বলেছেন, এই উদ্বেগজনক এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি কমিয়ে আনা জরুরি।লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে বক্তৃতা করার সময়, সাইমন স্টিল বলেছেন যে এনডিসি আজ যেভাবে দাঁড়িয়ে আছে বা কাজ করছে, তা ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিন গ্যাস নির্গমন কমিয়ে ফেলবে। তবে আমাদের নতুন প্রজন্মকে সঠিক ভাবে জাতীয় জলবায়ু পরিকল্পনার সাহায্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে এখনও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। আর এর জন্য আমাদের এখন অনেকটাই শক্তিশালী পরিকল্পনা দরকার। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিটি দেশকে এর জন্য নতুন পরিকল্পনা জমা দিতে হবে।