বৃহস্পতিবার থেকে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিষেবা চালু করতে পারে গো ফার্স্ট। সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদম🦂াধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহ থেকে নিয়মিত উড়ান পরিষেবা চালু হতে পারে। তবে বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে গো ফার্স্টের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। শুধুমাত্র টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, ট্রায়ালে সাফল্য মিলেছে। শীঘ্রই উড়তে শুরু করবে গো ফার্স্ট।
ভারতের কম খরচের উড়ান সংস্থার তরফে টুইটারে বলা হয়েছে, ‘একরাশ আশা নিয়ে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর ফের আকাশ ছুঁল জি৮। আ🌞মরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাচ্ছি যে ট্রায়াল রানে♒ সফল হয়েছি আমরা। আমরা যে শীঘ্রই রানওয়েতে ফিরে আসব, সেটার সংকেত এটা।’ তারইমধ্যে সূত্র উদ্ধৃত করে নিউজ১৮-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে আগামী সপ্তাহ থেকেই গো ফার্স্টের নিয়মিত উড়ান শুরু হতে পারে।
গো ফার্স্টের লিজে পাওয়া বিমান
ন্যাশনাল কোম্পানি ল' ট্রাইবুনালের কাছে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল গো ফার্স্ট। পরবর্তীতে গো ফার্স🔯্টকে লিজে দেওয়া ৫৪টি বিমানের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্যে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে লিজপ্রদানকারী সংস্থাগুলি।
বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় একটি লিখিত বিবৃতিতে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভিকে সিং জানিয়েছেন যে গো ফার্স্টকে লিজে দেওয়া মোট ৫৪টি বিমানের নথিভুক্তিকরণ বাতিল করার জন্য আবেদন পেয়েছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)। এই বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি ডিজিসিএ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেছে। আবেদনগুলির প্রক্রিয়াকরণ বর্তমানে ন্যাশনাল কোম্পানি ল' ট্রাইবুনাল এবং দিল্লি হাই🐷কোর্টে থাকা মামলাগুলির ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৫৮টি লিজে পাওয়া বিমানকে ভারতীয় অসামরিক বিমান পরিবহণের তালিকা থেকে সরানো হয়েছে। তিনি জানান, বর্তমানে উড়ান সংস্থাগুলি বিমানবন্দরে পার্কি⭕ং সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, অধিকাংশ বিমানের ইঞ্জিনগত সমস্যার কারণে বসিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল গো ফার্স্ট। সংস্থাটির তরফে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে জানায় বিমান বন্ধ থাকায় কারণে বিপুল লোকসান হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গো ফার্স্ট এবং লিজে বিমান প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে টানাপোড়েন চলছিল। আর্থিক ভাꦰবে ক্ষতিগ্রস্ত গো ফার্স্টের ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ ৬,৫২১ কোটি টাকার মতো। সংস্থাটিকে ঋণদাতা ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে রয়েছে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, ডয়েশ ব্যাঙ্ক।