বছরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ভারতীয় বাজারে সোনা ও রুপোর দামে পতন দেখা দিল। তবে বার্ষিক হিসেব অনুযায়ী, ২০২০ সালে সোনার দাম যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।এ দিন এমসিএক্স সূচকে ০.০৮% পতনের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৫০,০৯৭ টাকা। সূচকে ০.১২% পতনের জেরে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৬৮,৫৩১ টাকা। গত দুই সপ্তাহ ধরে সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রাম হিসেবে ৫০,০০০ থেকে ৫০,৫০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে।বিশ্বজুড়ে কোভিড সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় এবং সর্বসাধারণের জন্য টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালুর হওয়ার প্রাক্কালে বাজারে তার প্রভাব সাবধানে খতিয়ে দেখছেন লগ্নিকারীরা। বুধবার ব্রিটেনই বিশ্বে প্রথম সার্বিক টিকাকরণের জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিন ‘কোভিশিল্ড’-কে অনুমোদন দিয়েছে। তার প্রভাব যে আন্তর্জাতিক বাজারে পড়তে বাধ্য, তা মনে করিয়ে দিয়েছে কোটাক সিকিউরিটিজ।আন্তর্জাতিক বাজারে এ দিন সোনার দাম চড়ার দিকে রয়েছে, যার অন্যতম কারণ ডলারের দামে লাগাতার পড়তি। স্পট গোল্ড সূচকে এ দিন ০.২% উত্থানের দরুণ প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৯৭.৬৭ ডলার। পাশাপাশি, সূচকে আউন্সপ্রতি রুপোর দাম যাচ্ছে ২৬.৬৪ ডলার। বছরের হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ২৪%। ভারতে ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমতে থাকায় বার্ষিক সোনার দরে বৃদ্ধির হার ঘটেছে ২৭%। মনে রাখা দরকার, ভারতে বেশিরভাগ সোনাই আমদানি করা হয়। কোটাক সিকিউরিটিজ-এর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘মিশ্র প্রতিক্রিয়ার প্রভাব এবং বছরশেষে লগ্নিকারীদের উৎসাহে ভাটা পড়ায় সোনার দামে উত্থান-পতন আপাতত লেগে থাকবে। তবে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি এবং অতিমারী পরিস্থিতিতে বাজার চাঙ্গা করতে মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্কার প্যাকেজ ঘোষণার উপরে নির্ভর করবে সোনার দরে ভবিষ্যতের উত্থানের সম্ভাবনা। প্রতি আউন্সের দাম ১,৯০০ ডলারের কাছাকাছি ধরে রাখা গেলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সোনার দাম চড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’অন্য দিকে, ভারতে সরকারি গোল্ড বন্ডের সাম্প্রতিক কিস্তি বাজারে ছেড়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ইস্যু বিক্রির এই পর্ব শেষ হচ্ছে আগামিকাল, ১ জানুয়ারি। প্রতি গ্রাম সোনার দামের হিসেবে ইস্যুপ্রতি দাম রাখা হয়েছে ৫,০০০ টাকা। তবে অনলাইন লেনদেনে ইস্যুপ্রতি ৫০ টাকা ছাড়ের ব্যবস্থাও করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।