কোভিড সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং প্রতিষেধক প্রাপ্তির সম্ভাবনার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রভাবে সোনায় বিনিয়োগে সাবধানী পা ফেলছেন লগ্নিকারীরা। তা ছাড়া আমেরিকায় কোভিড অতিমারীর মোকাবিলায় কী ধরনের আর্থিক সংস্কারের পরিকল্পনা করে নতুন ক্ষমতাপ্রাপ্ত জো বাইডেন সরকার, সে দিকে নজর রয়েছে লগ্নিকারীদের। এই মিশ্র প্রভাবের জেরে বুধবার এমসিএক্স সূচকে ০.২% উত্থানের ফলে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৫০,১৪০ টাকা। সূচকে ১% উত্থানের ফলে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৬৮,৮৪৭ টাকা। মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময় সারাদিনের হিসেবে প্রতি ১০ গ্রামে ২২ টাকা বেড়েছিল সোনার দাম এবং কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা দাম কমেছিল রুপোর। উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহ ধরে সূচকে ৫০,০০০ থেকে ৫০,৫০০টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে এই দর। আন্তর্জাতিক বাজারে এ দিন প্রতি আউন্সে ০.৩% বৃদ্ধির ফলে সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ১,৮৮৩.৪৭ ডলার। মনে করা হচ্ছে, ডলারের দাম গত প্রায় দুই বছরের হিসেবে নিম্নতম হওয়ার জেরেই সোনার প্রতি ঝুঁকছেন লগ্নিকারীরা। অতিমারীর জেরে বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার চেষ্টায় একাধিক দেশে বিশেষ আর্থিক সংস্কারের সুফল দেখা দিয়েছে সোনার দামে। ভারতে যদিও গত অগস্ট মাসের রেকর্ড দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬,০০০ আর কখনও স্পর্শ করা যায়নি, তবু বছরের হিসেবে এখনও পর্যন্ত ২৫% বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার দর। অতিমারীর মতো সংকটকালে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিনিয়োগের নজরে সোনার চাহিদা বাড়তে থাকায় সূচকে তার দাম কখনও উল্লেখযোগ্য হারে পড়ে যায়নি। সাম্প্রতিক বিবৃতিতে কোটাক সিকিউরিটিজ জানিয়েছে, ‘মিশ্র প্রভাবে সোনার বাজার আপাতত অস্থির থাকবে। তবে নতুন সদর্থক আর্থিক সংস্কার হলে অথবা আউন্সপ্রতি সোনার দাম ১,৯০০ ডলার সীমার উপরে থাকলে বাজার চড়ার সম্ভাবনা প্রবল।’অন্য দিকে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রকাশিত সভরেন গোল্ড বন্ডের সাম্প্রতিক কিস্তি বাজারে এসেছে। প্রতি গ্রামের হিসেবে প্রতিটি ইস্যুর দাম রাখা হয়েছে ৫,০০০ টাকা। অনলাইনে বিনিয়োগ করলে সামান্য ছাড়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে ইস্যুটি বন্ধ হবে।