দেশীয় বাজারে সোনার দাম চড়ার ফলে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ ত্রৈমাসিকে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে গয়না বিক্রির হার, বলছে বাজার পরিসংখ্যান।করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন চালু করার ফলে যেমন সোনার দোকানে বিক্রি কমেছে, তেমনই মুদ্রার মান কমায় ও উন্নয়ন শ্লথ হয়ে পড়ার প্রভাব পড়েছে ঘরোয়া বাজারে সোনার গয়নার চাহিদার উপরে। বৃহস্পতিবার এই তত্ত্ব জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল।ত্রৈমাসিকের সূচনায় বিয়ের মরশুমে সোনার গয়নাকর চাহিদা কিছু বেড়েছিল। কিন্তু সোনার দাম অস্বাভাবিক হারে চড়লে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে কমতে থাকে স্বর্ণালঙ্কারের চাহিদা।ত্রৈমাসিকের শেষ ভাগে লকডাউনের জেরে বাজার পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। গত মার্চ মাসে সোনার গয়নার চাহিদা কমে ৬০%-৮০%। প্রথম ত্রৈমাসিকে সোনার গড় দাম গিয়েছে প্রতি ১০ গ্রামে ৪১.১২৪ টাকা, যা সাম্প্রতিক কালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।টাকার দাম হু হু করে পড়া এবং ডলারের দাম বাড়ার প্রভাবে মার্চে সোনার দাম রেকর্ড বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ১০ গ্রামে ৪৪,৩১৫ টাকা।প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের প্রথম ত্রৈমাসিক থেকেই ভারতে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নগামী। তবে গত ত্রৈমাসিকে বাজার পরিস্থিতি নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। ঠিক সেই সময়েই মহামারীর জেরে দেশব্যাপী লকডাউন আরোপ হলে তীব্র প্রভাব পড়ে খুচরো বাজারে। তার ফলে মার্চ মাসে শহুরে মধ্যবিত্ত এবং গ্রামীণ গ্রাহকরা সোনায় বিনিয়োগ করা প্রায় বন্ধ করে দেন।এরই প্রভাবে অক্ষয় তৃতীয়াতেও সোনার চাহিদায় বড়সড় পতন ঘটেছে। কিছু কিছু ব্র্যান্ড অনলাইনে সোনা বিক্রিতে চাহিদা বাড়ার কথা বললেও সামগ্রিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।