আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড অনুসরণ করে বুধবার ভারতে সোনা ও রুপোর দর কিছুটা পড়ল। এমসিএক্স সূচকে এ দিন ০.১৫% পতনের জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৫০,৩৪২৫ টাকা। পাশাপাশি, সূচকে ০.৩৫% পতনের জেরে রুপোর দাম প্রতি কেজি যাচ্ছে ৬২,৮৩২ টাকা। গত তিন দিনে এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন সোনা ও রুপোর দামে পতন দেখা দিল। গত অধিবেশনে সোনার লদাম সূচকে ১.৪% অর্থাৎ প্রতি ১০ গ্রামে ৭০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছিল। রুপোর দামও ৩.৩% বৃদ্ধির জেরে কেজিতে ২,০০০ টাকা দাম বেড়েছিল। সোমবার সোনার দামে বড়সড় উত্থান দেখা দেওয়ায় প্রতি ১০ গ্রামে ২,৫০০ টাকা দাম বেড়েছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে বিশ্বজোড়া কোভিড সংক্রমণের হার বৃদ্ধি ও সহায়ক আর্থিক সংস্কারের প্রত্যাশার টানাপড়েনে সোনার দামে বিশেষ বড়সড় বৃদ্ধি না ঘটলেও চলতি বছরের শেষে কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সোনা-রুপোর দর কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে।এ দিন স্পট গোল্ড সূচকে ০.২% বৃদ্ধির ফলে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৭৯.৩১ ডলার। সূচকে ০.২% বৃদ্ধির জেরে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৪.২৬ ডলার।এর মধ্যে মার্কিন ডলারের দাম পড়তির দিকে থাকাতেও সোনার দামে উত্থান ঘটেছে। কোটাক সিকিউরিটিস জানিয়েছে, ‘গত কয়েক দিনে সোনার দামে উল্লেখযোগ্য উত্থানের দরুণ বিনিয়োগকারীরা লাভের মুখ দেখেছেন। কোভিড ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের আশাও দর বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। অতিমারী সংকট আরও কিছু নিয়ন্ত্রণে না এলে সোনার দামে উল্লেখযোগ্য উত্থানের আশা করা যাচ্ছে না।’ভারতীয় বাজারে সোনার দামে সাম্প্রতিক পতনের ফলে ধনতেরস ও দীপাবলিতে তার চাহিদা বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উল্লেখ্য, গত অগস্ট মাসে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম রেকর্ড গড়ে ৫৬,২০০ টাকায় উঠেছিল। ইঅন্য দিকে, সভরেন গোল্ড বন্ড কেনায় এই দফার প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। প্রতি গ্রামের হিসেবে ইস্যুর দাম ৫,১৭৭ নির্ধারিত করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।