শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম প্রতি আউন্সে ১,৭৫০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সারা সপ্তাহের বিচারে যা প্রায় ২% উত্থান। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ-এর চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল আগামী দিনে দুর্বল আর্থিক বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করার পরে আরও আর্থিক ভরতুকির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর তার জেরেই আশা জাগিয়েও প্রত্যাশিত উত্থান হয়নি সোনার দামে। তা ছাড়া সোনার দাম ওঠানামায় প্রভাব ফেলছে আমেরিকা-চিন সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি। এমনই মনে করছেন আনন্দ রাঠি শেয়ার্স সংস্থার বিশ্লেষক জিগর ত্রিবেদি।করোনা সংক্রমণের জেরে বিশ্বজুড়ে আর্থিক বৃদ্ধি তীব্র ভাবে ব্যাহত হয়েছে। তার জেরে বেশির ভাগ উন্নত দেশের সরকার ও প্রধান ব্যাঙ্কগুলি একাধিক আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে সোনার চাহিদা ও দাম দুই-ই বাড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে কারণ মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক মন্দার মুখে সোনাতে বিনিয়োগ করাই নিরাপদ মনে করেন লগ্নিকারীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী সপ্তাহে এই সমস্ত উদ্যোগের সদর্থক ফল দেখা দেবে বাজারের গতি-প্রকৃতিতে। বিশেষ করে মনে রাখা দরকার, স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডলারের দাম চড়ার সপক্ষে সওয়াল করেছেন। যার জেরে সোনার দাম কমলে অবিলম্বে তাতে বিনিয়োগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে তাঁদের পরামর্শ।