ধনতেরাসের সময়ও দাম কম থাকছিল। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার ভারতীয় বাজারে সোনার দাম ন'মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ৪৯,২৯২ টাকা। কিন্তু সোনার দাম কীভাবে ন'মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল? বুধবারের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মাসে মার্কিন বাজারে ‘কনজিউমার প্রাইস’ (যে দামে ক্রেতারা কেনেন) এত বেড়েছে যে তা ৩১ বছরে দ্রুততম। সেই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকার মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের প্রভাব পড়েছে সোনার দামের উপর। গঙ্গানগর কমোডিটির রিসার্চ কমোডিটিজের অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট অমিত খাড়ে জানান, আমেরিকা এবং চিনের মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের ফলে বাজারে সোনা কেনার প্রবণতা বেড়েছে। লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে সোনার দিকে নজর দিচ্ছেন লগ্নিকারীরা। এমনিতে গত বছর অগস্টে ভারতীয় বাজারে ১০ গ্রাম সোনার দাম রেকর্ড ৫৬,২০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। তারপর থেকে সোনার দামে ভালোমতো হেরফের হয়েছে। তবে মোটের উপর ৫০,০০০ টাকার নীচেই থাকছিল। গত বছরের তুলনায় এবারের ধনতেরাসে সোনার দামও কম ছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, যতদিন মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা থাকবে, ততদিন সহায়তা পাবে হলুদ ধাতু। প্রফিসিয়েন্ট ইক্যুইটিস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং অধিকর্তা মনোজ ডালমিয়ার মতে, আমেরিকায় প্রত্যাশারও বেশি মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান এবং তারপর সুদের হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগের জেরে অবশ্যই বেড়েছে সোনার দাম। তবে তা অন্তর্বর্তীকালীন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেছে। তিনি বলেন, ‘অগস্টের ৪৭,৯০০ টাকার স্তর পেরিয়ে যাওয়ার পর আদতে শক্তিশালী হচ্ছিল সোনা এবং প্রাথমিকভাবে যে নিম্নমুখী প্রবণতা ছিল, তা কেটে গিয়েছে স্পষ্টতই। মরশুমের ভিত্তিতে বিচার করলে ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর্যায়ের প্রবেশ করছে সোনা। সাধারণত ডিসেম্বর এবং জানুয়ারিতে সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়।’