সদ্য ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের খুরজা থেকে নিউ ভাউপুর শাখার উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে তৈরি হল নজির। রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে꧙, সেই পণ্যবাহী রেল করিডরে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ছ🌱ুটল মালগাড়ি। যা পণ্যবাহী ট্রেনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিবেগ।
আপাতত গড়ে ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার বেগে মালগাড়ি চলাচল করে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭৫ কিলোমিটারে ছুঁয়ে ফেলে। এবার একলাফে সেই সর্বোচ্চ গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় যারপরনাই খুশি রেল মন্ত্রক। যে ৩৫১ কিলোমিটার দীর্ঘ করিডরের ফলে ডানকুনি থেকে লুধিয়ানার মধ্যে সংযোগ তৈরি হয়েছে। একটি বিবৃতিতে রেলের তরফে বলা হয়েছে, ‘নয়া চালু হওয়া ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের নয়া করিডরে খুরজা থেকে নিউ ভাউপুর শাখায় মালগাড়িগুলি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে শুরু করেছে। যা অভাবনীয় পরিবর্তন। দ্রুতগতির ফলে দ্রুতꦐ পণ্য পরিবহন করা যাবে এবং দ্রুত জোগানের ফলে পণ্যের দাম কমবে।’
রেলের ত꧟রফে জানানো হয়েছে, গত ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৩ টি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করেছে। তার মধ্যে ডাউন অভিমুখে (নিউ খুরজা থেকে নিউ ভাউপুর পর্যন্ত) সার্বিকভাবে ৩২ টি ট্রেন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৩.৭ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলেছে। আপ অভিমুখে নিউ ভাউপুর থেকে নিউ খুরজা পর্যন্ত ২১ টি ট্রেনের ক্ষেত্রে সেই গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৫.৯৮ কিলোমিটার।
কেন্দ্রের দাবি, নয়া শাখার চালুর পর পঞ্জাব এবং হরিয়ানার দিকে কয়লা, পাট, পেট্রল, কন্টেনার, লোহা, খনিজ-সহ অন্যান্য পণ্য পাঠানো হচ্ছে। হরিয়ানা এবং পঞ্জাব থেকে চাল, গম, খাদ্যশস্যের মতো পণ্য পরিবহন করছে রেল। সেই সঙ্গে পূর্ব ভারতেরও পণ্যবাহী ট্রেন যাচ্ছে। রেলের তরফে বলা হয়েছে, ‘এটা একটা ছোটো অংশ। কিন্তু এটা ভারতীয় রেলের অন্যতম ব্যস্ত লাইন। সেখানে রাজধানী এক্সপ্রেসের থেকেও বেশি জোরে ছুটবে পণ্যবাহী♓ ট্রেন।’