এবার সর্শক্তি নিয়ে কাজ করবে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, সরকার সুপ্রিম কোর্টে আরও দুই বিচারপতি নিয়োগ করেছে সরকার। এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রಞাজেশ বিন্দাল এবং গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচার💛পতি অরবিন্দ কুমারকে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এর আগে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতি। তাঁরা হলেন - বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল, বিচারপতি সঞ্জয় কারোল, বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার, বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। আর আজ আরও দুই বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের ঘোষণায় সর্বোচ্চ আদালতের মোট বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪।
সদ্য নিযুক্ত সাত বিচারপতির মধ্যে সবথেকে সিনিয়র হলেন বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল। গত বছর ১৪ অক্টোবর থেকে রাজস্থান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালের ১৭ জুন জন্মগ্♛রহণ করেন। ১৯৮২ সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় কমার্সে স্নাতক হয়েছিলেন। মীরাট কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে এলএলবি উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। সেই বছর উত্তরপ্রদেশের বার কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত ক🅺রেছিলেন। এদিকে সোমবার যে পাঁচ বিচারপতি শপথ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সিনিয়রদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল। এতদিন পটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। ১৯৬১ সালের ২৩ অগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। যিনি শিমলার সেন্ট এডওয়ার্ড স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। তারপর শিমলার গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হয়েছিলেন।
তাছাড়া সোমবারই সুপ্রিম বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার। সুপ্রিম কোর্টে পদোন্নতির আগে মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৮৮ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের বার কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টে সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন। তাছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি আহসানুদ্দিন আমানুল্লাহও। পটনা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালের মার্চ থেকে ২০১০ সালের অগস্ট পর্যন্ত রাজ্য সরকারের আইনজীবী ছিলেন বিচারপতি আমানুল্লাহ। এছাড়া বিচারপতি মনোজ মিশ্রও সুপ্রিম বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ১৯৮৮ সালের ২ ডিসেম্বর আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছিল𒈔েন তিনি। ২০১১ সালের ২১ নভেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ২০১৩ সালের ৬ অগস্ট স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি মিশ্র।