চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রকারভেদ করা যাবে না। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদ করা যাবে না। জানিয়েছে মাদ্রাসা হাইকো🍌র্ট। বিচারপতি এসএম সুহ্মমণিয়ম জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করা নিয়ে কোনও ভেদাভেদ করা হলে সেট༒া সংবিধানের ২১ নম্বর ধারাকে লঙ্ঘিত করা হবে।
আদালত জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে কোনও ভেদাভেদকে মেনে নেওয়া হবে না। এই ধরনের ভেদাভেদ করা💝 হলে সেটা অসাংবিধানিক হবে। ভারতের সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার সঙ্গে চিকিৎসা পাওয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। জীবন মানে ভালো চিকিৎসা। সেকারণে সমস্ত রোগীকে সমানভাব💎ে চিকিৎসা করাতে হবে। সরকারি হাসপাতালে সমস্ত রোগীর সমান চিকিৎসাকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
বার অ্য়ান্ড বেঞ্চের প্রতিবেদন অনুসারে 🔜জানা গিয়েছে, এক মহিলা অভিযোগ করেছিলেন চেন্নাইয়ের একটা হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাফিলতি হয়েছিল। তার জেরে সমস্যায় পড়েছিল তার সন্তান। তবে তিনি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। কিন্ত ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন প্রত্যাখান করে আদালত।
আদালত দেখেছিল কোর্টের আগের নির্দেশ মোতাবেক নড়েচড়ে বসেছিল হাসপাতাল🉐। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক𒁏দের টিম শিশুটিকে ভালো করে চিকিৎসা করিয়েছিল। দেখা গিয়েছিল শিশুটির চিকিৎসা তখনও চলছে।
তবে আদালত জানিয়েছে, কোনও রোগীর পরিজন সরকারি হাসপাতাল থেকে অন্য বিশেষ কিছু প্রত্যাশা করতে পারে না। কারণে সেখানে বিনা পয়সায় প্🥃রচুর রোগীর চিকিৎসা করানো হয়। তবে সমস্ত রোগীদের সমান চিকিৎসা ক🐲রা দরকার। কারণ এটা সংবিধানগতভাবে নির্দেশ।
বিচারপতিদের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, আমাদের দেশের প্রচুর জনসংখ্যা।সরকারি হাসপাতালে রোগীর সংখ্য়াও প্রচুর। তবে সরকারি হাসপাতালে যারা আসছেন তাদের চিকিৎসা করাতে বাধ্য় 💧হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আবেদনকারী জানিয়েছিলেন, দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার সময় তিনি যখন গর্ভবতী ছিলেন তখন হাসপাতাল অ্যানোমালি স্ক্যান করেনি। এরপর তিনি দেখেন তার বাচ্চার 📖মুখের গঠন ঠিকঠাক নেই। তার হার্টের সমস্যা রয়েছে। এরপর তিনি হাসপাতালে নিয়ে যান শিশুকে। কিন্তু সেখানেও তার সন্তানের অপারেশন হয়নি। তাঁর দাবি চিকিৎসক শিশুর চিকিৎসাও করাতে চাননি। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ এর সঙ্গে চিকিৎসার পর্যবেক্ষণের কোনও ব্যাপার নেই।