কেন্দরীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এদিন ফের হোয়াটসঅ্যাপকে তাদের প্রাইভএসি পলিসি লাগু না করার জন্য বলল। ডেটা সুরক্ষা নিয়ে উদ্বের প্রকাশ করেই এই নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপের এই প্রাইভেসি পলিসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিও চলছে। নোটিশে কেন্দ্র লিখেছে, এই ধরনের গোপনীয়তার নীতি সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের তথ্যের গোপনীয়তা এবং ডেটা সুরক্ষার মানকে অনেকটাই নীচে নামিয়ে দিতে পারে।উল্লেখ্য, ১৭ মে এক শুনানি চলাকালীন দিল্লি হাইকোর্টকে সোশ্যাল মাধ্যম জানায়, হোয়াটঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি স্বীকার করে নেওয়ার ডেটলাইন পিছনো হয়নি৷ সেই সঙ্গে এও বলা হয়, যদি কোনও গ্রাহক হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসি স্বীকার না করেন, তবে তাঁর অ্যাকাউন্টটি সংস্থার তরফে ধীরে ধীরে ডিলিট করে দেওয়া হবে৷দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার তরফে আইনজীবী কপিল সিবল জানান, কখনই পলিসি পিছিয়ে দেওয়া হয়নি৷ তবে, সেদিন কেন্দ্রের তরফে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মা জানান, হোয়াটঅ্যাপের নয়া এই প্রাইভেসি পলিসি ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি ও তার অন্তর্গত ধারাগুলিকে লঙ্ঘন করছে৷ সেই সঙ্গে কেন্দ্র যে সংস্থার সিইওকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, সেই কথাও এদিন আদালতে জানান চেতন শর্মা৷ সঙ্গে এও বলেন, সেই চিঠির জবাবের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অপেক্ষা করছে৷প্রসঙ্গত, হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার নয়া প্রাইভেসি পলিসি গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য তাদের প্রধান সংস্থা ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করতে পারবে৷ সেখানেই হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারদের ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন হওয়ার বড় সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷