উৎকর্ষ আনন্দবকেয়া অর্থ আদায়ের জন্য কোনও কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি আটকানো যাবে বা কেটে নেওয়া যাবে। এমনই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। নিজেদের রায়ে বিচারপতি সঞ্জয় কে কৌলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, কর্মীদের গ্র্যাচুইটি থেকে বকেয়া অর্থ না কাটার কোনও নিয়ম নেই। সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে যে বাসভবন দেওয়া হয়েছে, সেখানে বেশিদিন থাকার জন্য যে জরিমানা-সহ ভাড়া ধার্য করা হয়, তাও গ্র্যাচুইটি থেকে কাটা যাবে বলে জানানো হয়েছে। বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, ‘যদি নির্ধারিত সময়ের বেশিদিন কোয়ার্টারে থাকেন কোনও কর্মী, তাহলে তার পরিণতি হবে জরিমানা-সহ ভাড়া এবং তা গ্র্যাচুইটি-সহ অন্যান্য প্রাপ্যের সঙ্গে হিসেব-নিকেশ করে নেওয়া যেতে পারে।’ অর্থাৎ কোনও কর্মীর অন্যান্য গ্র্যাচুইটি-সহ প্রাপ্য থেকে বকেয়া অর্থ কেটে নেওয়া যেতে পারে। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ের আইনের ফলে একটি বিতর্কিত অংশের সমাধান হয়েছে। কারণ অবসর গ্রহণের পরও সরকারি কোয়ার্টারে থাকা কর্মীর গ্র্যাচুইটি জব্দ করা নিয়ে একটি মামলায় ২০১৭ সালে ভিন্ন নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তৎক্ষণাৎ ওই কর্মীর গ্র্যাচুইটি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। সঙ্গে জানানো হয়েছিল, যে অতিরিক্ত সময় ওই কর্মী থেকেছিলেন, সেজন্য সাধারণ ভাড়া নেওয়া হবে। জরিমানা-সহ ভাড়া ধার্য করা যাবে না।যদিও বিচারপতি কৌলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনওরকমভাবে ২০১৭ সালের নির্দেশের উপর নির্ভর করার বিষয়টি উপযুক্ত হবে না। কারণ সেটা কোনও রায় ছিল না। বরং সংশ্লিষ্ট মামলার তথ্যের বিরুদ্ধে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালের সেই রায়কে নজির হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, গ্র্যাচুইটির মতো অবসর-পরবর্তী সুবিধা ‘খয়রাতি’ নয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মীর সম্মতি ছাড়াই গ্র্যাচুইটি থেকে বকেয়া অর্থ আদায় করা যেতে পারে।ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে সেই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের ২০১৭ সালের একটি রায়ের উপর নির্ভর করে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, এক কর্মীর গ্র্যাচুইটি ছেড়ে দিতে হবে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডকে (সেইল)। যে কর্মী ২০১৬ সালে অবসর গ্রহণের পরও বোকারোতে সরকারি বাসভবন ছাড়েননি। সেজন্য ১.৯৫ লাখ টাকা জরিমানা-সহ ভাড়া ধার্য করেছিল সেইল। সেইলকে সাধারণ ভাড়া নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। তবে এবার হাইকোর্টের রায়ের একাংশ খারিজ করে দিয়েছে।