বিষমদ কাণ্ডে তোলপাড় গুজরাত। বোতাড় 🥃জেলা ও ধনধুকা তালুকে এই ঘটনার জেরে কার্যত আর্তনাদের ছায়া। স্বজনহারার কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকেই। গত ২ দিনে ৩𒈔৯ জনের মৃত্যুর খবর আসে। বিষমদ কাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ এখনও খুঁজছে বহু প্রশ্নের উত্তর। ১৩ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মামলা। তাদের মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার।
ধানধুকা তালুকের আকরু গ্রামের মাভজিভাই চাভড়া বলছেন, বিষমদ কাণ্ডে ছোটছেলের মৃত্যুর পর তাঁর অন্ত্যেষ্টির পরই বাড়ি এসে জানতে পারেন বড় ছেলেও একই উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বড় ছেলেও একইভাবে বিষমদ কাণ্ডে মারা যান। পরে সেই বড় ছেলেকেও তিনি হারান। দেখা গিয়েছে বিষমদে কাণ্ডে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ হারিয়েছেন দৃষ্টি। কেউ আবার বমি সহ মাথাঘোরার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন। গোটা ঘটনায় তপ্ত গুজরাতের রাজনীতি। সামনেই বিধানসভা ভোট। তার প্রেক্ষিতে চড়েছে রাজনীতির পারদ। বিষমদ কাণ্ড নিয়ে সংসদে সরব বিজেপি বিরোধী সব কয়টি দল। আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে? বাড়িতে গাড়ি, সাইকেল রা꧟খতে এই ভুল করছেন না তো! বাস্তুটিপস
প্রশ্ন শুধু বিষমদ পা করা নিয়ে নয়, প্রশ্ন রয়েছে আরও। গুজরাত ভারতে এমন একটি ꩲরাজ্য যেখানে মদ্যপান নিষিদ্ধ। 'গুজরাত প্রোহিবিশন অ্যাক্ট' এর আওতায় মদ্যপান করলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে পারে। শুধু মদ্যপান নয়, মদ কেনা বেচা বা কাউকে দিলেও তা শাস্তি যোগ্য অপরাধ বলে গুজরাতে পরিগণিত হয়। এরজন্য ৫ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। সেই রাজ্যে এমন কাণ্ড ঘটল কীভাবে। তাহলে কি প্রশাসনিক গাফিলতি? ডিজিপি আশিস ভাটিয়া বলছেন, রাজু নামের একটি ছেলেকে চেনা গিয়েছে, যে সদ্য আমেদাবাদের এক রাসায়নিক কারখানা থেকে মিথাইল অ্যালকোহল চুরি করে। ৬০০ লিটার এই মিথাইল অ্যালকোহল সে বোতাড়ে তার আত্মীয় সঞ্জয়কে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। প্রতিটি পাউচ ২০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর থেকেই এলাকার পর এলাকায় শুধুই মৃত্যু মিছিল। পুলিশ সন্ধান পেয়েছে একটি অপরাধ চক্রেরও। গোটা𝓰 ঘটনার তদন্তে গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি ৩ সদস্যের কমিটি গড়েছে।