তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক করলেন নিজের গোষ্ঠীর সদস্যদের। এক লিখিত বার্তায় নিজের অনুগামীদের উদ্দেশে আখুন্দজাদার বক্তব্য, অনুপ্রবেশকারীরা আফগানিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। উল্লেখ্য, আখুন্দজাদা ২০১৬ সাল থেকেই ইসলামি আন্দোলনের আধ্যাত্মিক প্রধান ছিলেন। কিন্তু আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে তাঁর গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করার পরেও তিনি জনসমক্ষে না আসায় তাঁকে নিয়ে জল্পনা বেড়েছিল। লিখিত এক বিবৃতিতে আখুন্দজাদা তালিবান কমান্ডারদের তাদের অধীনে থাকা সদস্যদের 'শুদ্ধ' করার আহ্বান জানিয়েছেন। আখুন্দজাদা লেখেন, 'গোষ্ঠীর সকল প্রবীণদের অবশ্যই তাদের অধীনে থাকা সদস্যদের দিকে তাকাতে হবে এবং দেখতে হবে যাতে সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনও অজানা সত্তা কাজ করছে কি না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এরম অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের নির্মূল করতে হবে।'আখুন্দজাদা আরও বলেন, 'যেই ভুলই ঘটে থাকুক না কেন, ইহকাল এবং পরকালের কর্মের পরিণতির জন্য প্রবীণরা দায়ী থাকবেন।' তাঁর বিবৃতিতে আখুন্দজাদা আরও জানান, তালিবান ইউনিট কমান্ডারদের অবশ্যই তাদের নিয়োগকারীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করতে হবে। তাঁর কথায়, 'তাদের শিষ্টাচার এবং আচরণ ঠিক করার চেষ্টা করুন যাতে এই মুজাহিদিনরা তার নেতার জন্য আরও ভালো কাজ করতে পারে।'উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মোল্লা আখতার মনসুর এক ড্রোন হামলায় নিহত হলে তালিবান প্রধান হন আখুন্দজাদা। ২০১৬ সাল থেকে তালিবানের যে কোনও রাজনৈতিক, সামরিক বা ধর্মীয় বিষয়ে শেষ কথা বলতেন কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত আখুন্দজাদা। এই আবহে তালিবান আফগানিস্তান দখল করার পর সরকারের সম্ভাব্য তালিকায় বারংবার উঠে আসে আখুন্দজাদার নাম। তবে জল্পনা তৈরি হলেও সরকার পরিচালনায় দেখা যায়নি আখুন্দজাদাকে। তবে সম্প্রতি অনুগামীদের বিভিন্ন বার্তা দিতে শুরু করেছেন আখুন্দজাদা।