প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির পর শনিবার ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে ভারত। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার স্বাধীনতা দিবসের পালন কিছুটা আলাদা হতে চলেছে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবার জমায়েত এড়িয়ে যেতে হবে। সব স𓆉রকারি অফিসই এবার অনুষ্ঠানের ওয়েবকাস্ট করবে।
দিল্লির লালকেল্লাতেও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কাটছাঁট করা হয়েছে। করোনা সুরক্ষাবিধির জন্য অন্যবারের মতো ধুমধাম করে অনু꧂ষ্ঠ🗹ান হবে না। আমন্ত্রিতদের সংখ্যাও সীমিত রাখা হয়েছে।
ইতিহাস
১৬০০ সালে বাণিজ্যের জন্য ভারতে এসেছিꦬল ইংরেজরা। ইতিমধ্যে ১৭৫৬ সালে বাংলার নবাব হয়েছিলেন সিরাজ-উদ-দৌলা। তাঁর সঙ্গে ইংরেজ কোম্পানির বিবাদ শুরু হয়েছিল। পরে ১৭৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নবাবের সঙ্গে ‘আলিনগর চুক্তি’ চুক্তি হয়েছিল ইংরেজদের। সেই চুক্তি লঙ্ঘনের মিথ্যা অজুহাতে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। পলাশির প্রান্তরে সেই যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি💎লেন মীরজাফর। জয়লাভ করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেই শুরু। সেখান থেকেই ভারতে ইংরেজদের ভিত আরও মজবুত হয়েছিল।
তারপর ১৭৬৫ স🐓ালে বাংলা, বিহার ও ওড়িশার দেওয়াল লাভ করেছিল কোম্পানি। সিপাহি বিদ্রোহের সময় ভারতে🌸র শাসনভার সরাসরি ইংরেজের রাজপরিবারের হাতে চলে গিয়েছিল। দেশকে স্বাধীন করার ব্রতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন অসংখ্য বিপ্লবী। দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন। তাঁদের প্রচেষ্টায় শেষপর্যন্ত ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে ভারত। 'ইউনিয়ন জ্যাক'-কে চিরতরে সরিয়ে দিয়ে সারা ভারতে উড়েছিল তেরঙা। মুক্ত হয় প্রায় ২০০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে।
গুরুত্ব
দেশের মহান✅ স্বাধীন সংগ্রামীদের আত্মবলিদান দিবস আরও বেশি করে স্মরণ করার দিন ১৫ অগস্ট। তাঁরা নিজেদের জীবনের পরোয়💞া না করে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তাঁদের সাহসিকতা-বীরত্বের জন্যই নিজেদের দেশে মুক্ত শ্বাস নিতে পারছেন ভারতবাসীরা।
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন স্বাধী🌳ন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। তারপর থেকে প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবসের সকালে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ঐতিহাসিক মুহূর্তে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
পাশাপাশি প্রতি বছর স্বাধীনতা দিবসের সকালে সেই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মুহূর্তে গায়ে কাঁটা দেয় 𒉰সকলের। পাড়ায় পাড়ায় পালিত হয় স্বাধীনতা হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। দেশবাসীকে অবশ্য নিজಌেদের বাড়িতেই পতাকা উত্তোলনের আর্জি জানানো হয়েছে। বাড়িতে বসেই স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।